দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারাই দেশকে ডুবিয়েছে, বললেন সাবেক রাষ্ট্রদূত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:১৮ এএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ শুক্রবার
রোয়া রহমানি। ছবি: সংগৃহীত।
আফগানিস্তানে প্রথম নারী রাষ্ট্রদূত ছিলেন রয়া রাহমানি। প্রায় ৩ বছর আমেরিকায় রাষ্ট্রদূত পদে কাজ করেছেন ৪৩ বছরের রেহমানি। দেশে তালেবানের ক্ষমতা দখলের ইঙ্গিত স্পষ্ট হতেই তিনি পদত্যাগ করেন। কিন্তু আফগানিস্তানে ফেরেননি।
আশরাফ গনি সরকারের সীমাহীন দুর্নীতিই আফগানিস্তানে তালেবানের পুনরুত্থানের পথ প্রশস্ত করেছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই অভিযোগ প্রাক্তন আফগান কূটনীতিক রোয়া রহমানির।
আমেরিকায় নিযুক্ত প্রথম নারী আফগান রাষ্ট্রদূত রহমানি বলেন, আমেরিকার মদতে গঠিত আফগান সরকার দেশকে নেতৃত্ব দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছিল। তাই তালেবানের পক্ষে এত সহজে কাবুল দখল করা সম্ভব হয়েছে।
জুলাইয়ের শেষ-পর্বে আফগানিস্তানের একের পর এক প্রদেশ তালেবান দখল করতে শুরু করলে আমেরিকায় আফগান রাষ্ট্রদূতের পদ থেকে ইস্তফা দেন রোয়া রহমানি।
তিনি বলেছেন, সে সময় অনেকেই হতবাক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আফগান নাগরিক হিসেবে আমি অবাক হইনি। কারণ, সরকারের অন্দরে নেতৃত্বের অভাব এবং দুর্নীতি সম্পর্কে অবহিত ছিলাম আমি।
আফগানিস্তানের তালিবানের দখলদারি ভবিষ্যতে ওয়াশিংটনের কাছে চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে বলেও জানান রোয়া।
আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের যুক্তি দিতে গিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছিলেন, তারা আর যুদ্ধ এবং রক্তপাত চান না।
রহমানির মতে, আমেরিকার সহায়তায় যে আফগান সেনাবাহিনী গঠিত হয়েছিল, তারাও দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য তালিবানের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরতে আদৌ ইচ্ছুক ছিল। কারণ, পুরো ব্যবস্থাটাই ছিল দুর্নীতিতে ঘেরা। ১৫ আগস্ট তালেবানের কাবুল দখলের পর প্রেসিডেন্ট গনির বিদেশে পালানোকেও ‘হতাশাজনক’ বলেছেন রোয়া রহমানি।
তালেবান আমলে আফগান নারীদের কোনো ভবিষ্যত নেই। এ প্রসঙ্গে রোয়া রেহমানি বলেন, আফগান নিয়ন্ত্রিত সরকার বা সামাজিক ব্যবস্থায় নারীদের কোনও স্থান নেই। নয়া তালেবান সরকারেও কোনও নারীকে রাখা হয়নি। এর থেকেই স্পষ্ট, নারীদের সম্পর্কে তালিবান নেতৃত্বের কী ভাবনা।
তিনি বলেন, প্রবল প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও যে সব সাহসী আফগান নারীরা পথে নেমে তালিবানের বিরোধিতা করছেন, তাদের আমি সালাম জানাই।