ঢাকা, বৃহস্পতিবার ০২, মে ২০২৪ ১৮:০০:৪৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে শিক্ষিকা গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৩০ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার

সীমা আক্তার, সংগৃহীত ছবি

সীমা আক্তার, সংগৃহীত ছবি

প্রতারণা করে ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সীমা আক্তার (৪০) নামে একজন শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠান। 

এর আগে মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। পরে ওই রাতেই ভুক্তভোগী একজন তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। 

জানা গেছে, প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীরা মঙ্গলবার দিনভর সীমা আক্তারকে বাড়িতে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে পুলিশ আটক তাকে করে থানায় নিয়ে যায়। এই অভিযোগে ইতোমধ্যেই পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ সীমাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, পাবনা পৌর এলাকার আটুয়া হাউস পাড়া মহল্লার মৃত হানিফুল ইসলামের স্ত্রী ও পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাথমিক শাখার শিক্ষিকা সীমা আক্তার মানুষকে গরুর খামার ও আরও নানা ধরনের হালাল উপার্জনের কথা বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সাধারণ মানুষ তার কথায় সরল বিশ্বাসে লাভের আশায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অর্থ বিনিয়োগ করেন। টাকার অঙ্ক বেড়ে গেলে তিনি সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করে গা-ঢাকা দেন। তখন বিনিয়োগকারীরা টাকা হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, এই ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। সীমা আক্তারের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগের কারণে তাকে স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার প্রতারণার বিষয়ে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন ভুক্তভোগীরা। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি। অনেকেই তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ নিয়ে এসেছেন। এর সত্যতার ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডেভিড হিমাদ্রি বর্মা বলেন, ভুক্তভোগী মাবেলা পারভীন শিল্পী বাদী হয়ে সীমা আক্তারের বিরুদ্ধে পাবনা থানায় মামলা করেছেন। মামলায় তিনি ৭ লাখ টাকা আত্মসাতের তথ্য উল্লেখ করেছে। এ ছাড়াও তার মতো অনেক মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে সীমা আক্তার আত্মসাৎ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই মামলায় বুধবার দুপুরে পুলিশ সীমা আক্তারকে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠান।