একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী রাহিজা খানম ঝুনু মারা গেছেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ১২:৩৮ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ০৫:৪৪ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০১৭ রবিবার
একুশে পদক প্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী, নৃত্যগুরু রাহিজা খানম ঝুনু আজ রোববার মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি, ফুসফুস, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছিলেন। কিছুদিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।
ডা. এপিএম সোহরাবুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন তিনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল পরিবারের পক্ষ থেকে।
রাহিজা খানম ঝুনুর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। দুপুর দেড়টায় শিল্পকলা একাডেমিতে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
রাহিজা খানম ঝুনু ১৯৪৩ সালে ২১ জুন পুরান ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬০ সালে রাহিজা খানম ঝুনু সিদ্ধেশ্বরী বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা পাস করেন। ১৯৬১ সালে তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমী থেকে পাঁচ বছর মেয়াদি সার্টিফিকেট কোর্সে উত্তীর্ণ হন এবং শ্রেষ্ঠ নৃত্যশিল্পী হিসেবে স্বর্ণপদক লাভ করেন। ওই বছরই তিনি বাফার নৃত্যকলা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
শিল্পী হিসেবে তিনি যতখানি সফল হয়েছেন তেমনি পারিবারিক জীবনেও সমানভাবে সফল। ১৯৬৬ সালে ময়মনসিংহের ভালুকার আমান উল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। নৃত্যচর্চায় অবদানের জন্য তিনি ১৯৬১ সালে বুলবুল ললিতকলা একাডেমীর শ্রেষ্ঠ নৃত্যশিল্পী হিসেবে স্বর্ণপদক, ১৯৯০ সালে একুশে পদকসহ অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেছেন। তার হাত ধরে দেশের খ্যাতিমান অনেক নৃত্যশিল্পী উঠে এসেছে। তার কন্যা ফারহানা চৌধুরী বেবিও একজন নৃত্যশিল্পী।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের চালু হওয়া থেকে তিনি নিয়মিত শিল্পী ও নৃত্য পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন।
একুশে পদকপ্রাপ্ত গুনী নৃত্য ব্যক্তিত্ব রাহিজা খানম ঝুনুর জীবন, জীবিকা ও নৃত্যশিল্পী থেকে নৃত্য গুরুমাতা হয়ে ওঠার গল্প নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন তরুণ প্রতিভাবান পরিচালক সাইদুর রহমান বাপ্পি। তথ্যচিত্রে তার ব্যাক্তিগত জীবন ও শিল্পীজীবনের নানা দিক তুলে ধরা হয়।
