ঢাকা, সোমবার ২২, ডিসেম্বর ২০২৫ ৮:২৭:১৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

রূপাকে গণধর্ষণ-হত্যা : ৫ বাসশ্রমিকের বিচার শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ০৬:০০ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ০১:২৬ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০১৭ বৃহস্পতিবার

 

রূপা খাতুনকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় পাঁচ পরিবহন শ্রমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন টাঙ্গাইলের একটি আদালত।

আজ বুধবার নির্ধারিত দিনে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রবিউল হাসান এ অভিযোগ গঠন করেন। বিচারক আগামী ৩ জানুয়ারি চাঞ্চল্যকর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।

অভিযুক্তরা হলেন ছোঁয়া পরিবহনের বাসের চালক হাবিবুর রহমান (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫), সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯)। তাদের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধিত ২০০৩) ৯-এর তিন ধারায় গণধর্ষণের অভিযোগ এবং দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় হত্যার অভিযোগ, ২০১ ধারায় লাশ গুমের অভিযোগ এবং ৩৪ ধারায় সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগপত্রে ৩২ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ, চিকিৎসকসহ পাঁচ/ছয়জন সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন।

গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপা খাতুনকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করেন। পরে তাকে ঘাড় মটকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরের দিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয় রূপাকে।

এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

রূপাকে হত্যার পর ময়মনসিংহ-বগুড়া রুটে চলাচলকারী ছোঁয়া পরিবহনের শ্রমিকরা স্বাভাবিক ছিলেন। ঘটনার পরের দিন থেকেই তারা স্বাভাবিকভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। রূপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় এসে লাশের ছবি দেখে রূপাকে সনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫) এবং সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) গ্রেফতার করে। পুলিশের কাছে তারা রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেন।