মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ০৮:২৭ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ০৩:০৩ পিএম, ৬ ডিসেম্বর ২০১৭ বুধবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মিয়ানমারের বিতাড়িত নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে ফেরত নেয়ার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে হবে।’
আজ বুধবার জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি ফেকিতামোলয়া কাতোয়া ইউটোয়িকামানুর সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ইহসানুল করিম জানান বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছে। তবে, তাদের দীর্ঘ সময়ের জন্য আশ্রয় দেয়া সম্ভব নয়।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে এ বছর মারাত্মক বন্যা হয়েছে। এসবের পরও রোহিঙ্গা সমস্যা দেশের জন্য অতিরিক্তি বোঝা হিসেবে দেখা দিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে নারীর ক্ষমতায়ন, কৃষি উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন এবং পল্লী উন্নয়নসহ নানা ক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন সাফল্য তুলে ধরেন। কৃষির উন্নয়ন ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার গবেষণা খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সরকারের রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের উদ্যোগ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, লক্ষ্য অর্জনে পরিকল্পনা মোতাবেকই সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
জাতিসংঘ নির্ধারিত এমডিজি লক্ষ্যমাত্র অর্জনে সরকারের সাফল্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসডিজিতে বাংলাদেশ এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখবে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়নের প্রশংসা করে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, স্বল্প আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবার পথে এগুলেও বিশ্ব সম্প্রদায় বাংলাদেশের প্রতি সকল সহযোগিতাসমূহ অব্যাহত রাখবে।
এ বিষয়ে আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, স্বল্প আয়ের দেশ থেকে একটি দেশের মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ জাতিসংঘের সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টারই ফসল।
তিনি বলেন, স্বল্প আয়ের দেশ থেকে একটি দেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হলেই সহযোগিতা বন্ধ হতে পারে না। কারণ জাতিসংঘের কোনো পদক্ষেপই শাস্তিমূলক হবে না।
ফেকিতামোলয়া কাতোয়া বলেন, এ বিষয়ে আইন-কানুন নিয়ে পুনর্বিবেচনা চলছে যে, একটি দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবার পরও তাকে কিভাবে সহযোগিতা প্রদান করা যায়।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে জাতিসংঘ প্যাকেজ আকারে সহযোগিতা প্রদান করতে পারে দেশটির চাহিদা এবং ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে।
প্রেস সচিব ব্যাখ্যা করে বলেন, এর আগে যে সব দেশ স্বল্প উন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে সেসব দেশকে জাতিসংঘ একটি নীতির আওতায় সহযোগিতা প্রদান করতো।
