ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩, ডিসেম্বর ২০২৫ ৯:১৬:৩৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

কম্বোডিয়ার শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

বাসস

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ০৯:৪৫ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ১১:৪৯ এএম, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ সোমবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রোববার কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দেশটির শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।


প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণের পর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে কিছু সময় নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। প্রধানমন্ত্রীকে তিন বাহিনীর এক সুসজ্জিত দল গার্ড অব অনার প্রদান করে এবং এ সময় বিউগিলে করুন সুর বেজে উঠে।


১৯৫৩ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের স্মারক হিসেবে ১৯৫৮ সালে নমপেনে এই স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়। এর নকশা প্রণয়ন করেন কম্বোডিয়ার স্থপতি ভ্যান মলিভান।


পরে প্রধানমন্ত্রী কম্বোডিয়ার প্রয়াত রাজা নরোদম সিহানুকের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে প্রয়াত রাজার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। কম্বোডিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর একটি দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদর্শন করে। এ সময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহেনা এবং প্রধানমন্ত্রীর অন্যান্য সফর সঙ্গীগণ উপস্থিত ছিলেন।


শেখ হাসিনা এরপর তুল সেলং জেনোসাইড মিউজিয়াম পরিদর্শন করেন। নমপেনের কেন্দ্রস্থলে মিউজিয়ামটি অবস্থিত।


শেখ রেহানার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মিউজিয়ামের বিভিন্ন সেকশন ঘুরে দেখেন। সেখানে তাঁরা খেমার রুজ শাসনের নৃশংসতার স্বাক্ষ্য প্রত্যক্ষ করেন। মিউজিয়ামের পরিচালক চিহে ভিসথ তাঁদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে ব্রিফ করেন।


বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র সচিব এম শহিদুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম অন্যান্যের মধ্যে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


মিউজিয়ামটি ছিল একটি উচ্চ বিদ্যালয়। এটি খেমার রুজের ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৯ পর্যন্ত শাসনকালে কুখ্যাত সিকিউরিটি ডিভিশন ২১ (এস-২১) ব্যবহার করে। তুল সেলং অর্থ হচ্ছে ‘হিল অব দ্য পয়েজনাস ট্রিজ’ বা স্ট্রিচিনিন হিল। এটি ছিল খেমার রুজের কমপক্ষে ১৫০টি মৃত্যুদন্ড কেন্দ্রের একটি।


২০১০ সালের ২৬ জুলাই কম্বোডিয়ার একটি বিশেষ আদালত মানবতা বিরোধী অপরাধ ও ১৯৪৯ সালের জেনেভা কনভেনশন লঙ্ঘনের দায়ে তুল সেলং কারাগারের প্রধান কাইং কেক ইউকে অজীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের আমন্ত্রণে ৩ দিনের সফরে আজ বিকেলে এখানে পৌঁছেন।