ঢাকা, মঙ্গলবার ৩০, এপ্রিল ২০২৪ ৬:৪৮:০৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

দীর্ঘ ২২ বছর পর সন্তানকে খুঁজে পেলেন বাবা-মা

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:২৪ পিএম, ৯ অক্টোবর ২০২১ শনিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

মাত্র ছয় বছর বয়সে হারিয়ে গিয়েছিল ছোট্ট শিশু তানজিমা। নানীর সঙ্গে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় এসে হারিয়ে যাওয়ার পর কেটে গেছে দীর্ঘ ২২ বছর। শিশু মনের আকুতি আর পরিবারের শত চেষ্টায়ও এক হতে পারেনি তারা। তবে অবশেষে অসাধ্য এক কাজই সাধ্য করে দেখালো ‘আপন ঠিকানা’।

১৯৯৯ সালের ৮ মার্চ রাজধানীর মহাখালীর কড়াইল এলাকায় মামার বাসায় বেড়াতে এসে হারিয়ে গিয়েছিল তানজিমা। পরে তাকে পান শান্তিবাগ এলাকার গোফরান মিয়া নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা। তানজিমাকে তিনি নিজের মেয়ের মতো লালন-পালন করে বিয়েও দেন।

গত ৩ অক্টোবর বিকেলে তানজিমা আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠান ‘আপন ঠিকানা’য় আসেন। সেখানে নিজের হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা তুলে ধরেন তিনি। ওই দিন মধ্যরাতেই আপন ঠিকানা টিম তানজিমার পরিবারের সন্ধান পায়। এরপরের ঘটনা কোনো রূপকথার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। মেয়েকে খুঁজে পাওয়ার আশা ছেড়ে দেওয়া বাবা-মা দীর্ঘ ২২ বছর পর পেলেন তাদের সন্তানের দেখা।

মেয়েকে কাছে পেয়ে বাবা নুরুল হুদা এবং মা জোসনা বেগম আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। সন্তানহারা বাবা-মায়ের সন্তানকে খুঁজে পাওয়ার দৃশ্য আপ্লুত করেছে লাখো মানুষকে।

তানজিমা জানান, ১৯৯৯ সালে মামার বাড়িতে গিয়ে হারিয়ে যান তিনি। পরে তাকে লালন-পালন করে বিয়ে দেন শান্তিবাগ এলাকার গোফরান মিয়া নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা। বর্তমানে তিন সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে বনশ্রীতে ভাড়া বাড়িতে থাকেন তানজিমা।

পরিবারকে ফিরে পাওয়ার অনুভূতি জানিয়ে তানজিমা বলেন, ‘পরিবারকে হারানোর পর অনেক কষ্ট করেছি। অনেক কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে চেয়েছি, যেন আমার বাবা-মাকে ফিরে পাই। আজ জীবনের সেরা উপহার আমার জন্মদাতা বাবা ও গর্ভধারিণী মাকে পেয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাস্তায় পাওয়ার পর যারা নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করে বড় করেছেন, তাদের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ, চিরঋণী। একই সঙ্গে যাদের মাধ্যমে পরিবার ফিরে পেয়েছি, তাদেরও ধন্যবাদ জানাই।’

তানজিমার বাবা নূরুল হুদা বলেন, ‘মেয়ে হারিয়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাইনি। অবশেষে আমাদের হারানো ধনকে ফিরে পেয়েছি, এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।’