ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৮, এপ্রিল ২০২৪ ১৮:১৩:০৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

কৃষকনেত্রী ইলা মিত্রের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৪৫ এএম, ১৩ অক্টোবর ২০২১ বুধবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী ও বাংলার কৃষকের অধিকার আদায়ে সংগ্রামী কৃষকনেত্রী ইলা মিত্রের ১৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বুধবার।

ইলামিত্র ৭৭ বছর বয়সে ২০০২ সালের ১৩ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন। এ দিনটি উপলক্ষে নাচোলের কন্দেুয়ায় একটি বিদ্যালয়ে ইলা মিত্র সংসদের উদ্যোগে কোরআন তেলাওয়াত, গীতা পাঠ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

ইলা মিত্র ১৯২৫ সালের ১৮ অক্টোবর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের সময় তার নাম রাখা হয় ইলা সেন। তাঁর বাবা নগেন্দ্রনাথ সেন ছিলেন বৃটিশ সরকারের বাংলার একাউন্টেন্ট জেনারেল। বাবার চাকুরির সুবাদে তার পরিবার কলকাতায় থাকতেন। তাদের আদি নিবাস ছিল ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলায় কুমার নদের পাশে বাগুটিয়া গ্রামে। কলকাতার বেথুন স্কুল ও কলেজে ওই নেত্রীর স্নাতক পর্যন্ত লেখা পড়া করেন। পরে ১৯৫৮ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে এম এ ডিগ্রি লাভ করেন।

ইলা সেন যখন বেথুন কলেজে বাংলা সাহিত্যে বি.এ. সম্মানের ছাত্রী তখন থেকেই রাজনীতির সাথে তাঁর পরিচয় হয়। নারী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাঁর রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তিনি।নারী আন্দোলনের কাজ করতে করতে তিনি ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য পদ লাভ করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের জমিদার মহিমচন্দ্রের পুত্র রমেন মিত্রের সাথে ১৯৪৫ সালে ইলা মিত্রের বিয়ে হয়। জামদার বংশে বিয়ে হওয়ার পর তিনি স্বস্থিতে ছিলেন না। তিনি সবসময় এই পরিবেশ থেকে মুক্তি চাইতেন।পরবর্তীতে স্বামী রমেন মিত্রের সহযোগিতায় গ্রামের নিরক্ষর মেয়েদের কাছে শিক্ষার আলো পৌঁছিয়ে দেয়ার কাজ শুরু করেন। ইলা মিত্রের স্বামীও কমিউনিস্ট পার্টির একনিষ্ঠ সদস্য হয়েছিলেন।


সে সময়ে গরিব কৃষকরা খুব অবহেলিত ছিল। গরিব কৃষকরা যাতে তাদের ন্যায় অধিকার আদায় করতে পারে, সে লক্ষে তিনি আন্দোলন গড়ে তুলেন। ১৯৪৮ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার চণ্ডীপুর, কেন্দুয়া, কুসবাডাঙ্গা, রাউতাড়া, ধরমপুর ও ঘাসুড়া এলাকায় সংগঠিত হয় কৃষক আন্দোলন । এ ঐতিহাসিক আন্দোলনে লাঞ্ছিত ও বঞ্চিত কৃষক-শ্রমিকের অধিকার আদায়ে কাজ করেছেন ইলামিত্র। ইলামিত্র ১৯৫০ সালে ৭ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর রেল স্টেশনে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে নির্মম নির্যাতনের শিকার হন। পরে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তিনি কলকাতায় চলে যান এবং পশ্চিমবঙ্গের বিধান সভায় চারবার সদস্য নির্বাচিত হন। ওই সদস্য পদকে বিধায়ক বলা হয়।

নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শরীফ আহমেদ জানান, ইলামিত্র কে ভোগ করতে হয়েছে অমানুষিক নির্যাতন। তবুও থেমে যায়নি তার আদর্শের লড়াই। কৃষক আন্দোলনে যোগ দিয়ে শোষিতের পাশে দাঁড়িয়েছেন আবার শিক্ষকতা করে অগণিত শিক্ষার্থীকে আলোর পথ দেখিয়েছেন। এ নেত্রীর ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে তার স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলোকে দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে তোলা হবে।