ঢাকা, সোমবার ২৯, এপ্রিল ২০২৪ ২:৪২:০৪ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ব্রয়লারের দাম চড়া, কমেছে পেঁয়াজের ঝাঁজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৪৭ এএম, ১৫ অক্টোবর ২০২১ শুক্রবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

দফায় দফায় বাড়তে থাকা ব্রয়লার মুরগির দাম নতুন করে আরও বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে কেজিতে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। এতে ব্রয়লার মুরগির কেজি দুইশো টাকার কাছাকাছি চলে এসেছে।

এদিকে পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক কমানোর খবরে কমেছে পেঁয়াজের দাম। একদিনে কেজিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১০ টাকা। তবে মুরগির পাশাপাশি এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি।


শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা। দুই সপ্তাহ আগে ছিল ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। আর সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে।

ব্রয়লার মুরগির মতো পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগির দামও দফায় দফায় বেড়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া সোনালী মুরগির দাম কয়েক দফা বেড়ে এখন ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে এই মুরগির কেজি ছিল ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা এবং দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হয় ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি।

ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির দাম দফায় দফায় বাড়লেও অনেকটা স্থিতিশীল রয়েছে লাল লেয়ার মুরগির দাম। সেপ্টেম্বর ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া এই মুরগির দাম কয়েক সপ্তাহ ধরে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

মুরগির দামের বিষয়ে কাপ্তান বাজারের ব্যবসায়ী সোহেল বলেন, বাজারে এখন মুরগির সরবরাহ বেশ কম। এ কারণে মুরগির দাম বাড়ছে। সামনে ব্রয়লার মুরগির কেজি দুইশো টাকা হয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবে মাসখানেক পর মুরগির দাম কমতে পারে। কারণ তখন নতুন মুরগি বাজারে আসবে।


খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী মিলন শেখ বলেন, হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলো এখন প্রচুর সোনালী ও ব্রয়লার মুরগি কিনছে। তাছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠান হচ্ছে। এসব অনুষ্ঠানের জন্যও ব্রয়লার ও সোনালী মুরগি কেনা হচ্ছে। এ কারণে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির দাম বেড়েছে। লাল লেয়ার মুরগি হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোতে চলে না। আমাদের ধারণা এ কারণে লেয়ার মুরগি দাম খুব একটা বাড়েনি।

তিনি বলেন, মুরগির দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে আমরাও অবাক। গতকাল ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭৫ টাকা বিক্রি করেছি। আজ পাইকারিতে যে হারে দাম বেড়েছে তাতে আমাদের ১৮৫ টাকার নিচে বিক্রি করার উপায় নেই। পাইকারি বাজারে যে গুঞ্জন শুনছি, তাতে আগামী সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির কেজি দুইশো টাকাও হয়ে যেতে পারে।

খিলগাঁও বাজারে মুরগি কিনতে আসা আফজাল হোসেন বলেন, সপ্তাহে একটা দিন পরিবারের সবাই মিলে মাংস ভাত খাওয়ার চেষ্টা করি। গরু ও খাসির মাংসের যে দাম, তাতে অনেক আগেই গরু ও খাসির মাংস খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। এখন ব্রয়লার মুরগির দাম যে হারে বাড়ছে, তাতে মনে হচ্ছে এটাও কপাল থেকে উঠে যাবে।

তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম নিয়ে কারও যেন কোন মাথা ব্যাথা নেই। সবকিছুর দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষের পক্ষে দুমুঠো ভাত খাওয়াই কষ্টকর হয়ে গেছে।

এদিকে গত সপ্তাহে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে এখন ৬৫ থেকে ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গতকালও পেঁয়াজের কেজি ৭৫ টাকা বিক্রি হতে দেখা যায়। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক কমানোয় একদিনে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে গেছে।