ঢাকা, রবিবার ০৫, মে ২০২৪ ১:০৫:৩৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ছাদ বাগানে ঝিঙে ফলিয়ে চমক দিলেন সাঈদ

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:২৮ এএম, ২৩ অক্টোবর ২০২১ শনিবার

সৌখিন কৃষক আবু সাঈদ তার ছাদ বাগানে।

সৌখিন কৃষক আবু সাঈদ তার ছাদ বাগানে।

ইউরোপের মত দেশে থেকেও কৃষির নেশা ছাড়তে পারেনি সৌখিন কৃষক আবু সাঈদ। তাই সুযোগ পেলেই ছুটে আসেন দেশে। বাড়ির ছাদে নানা সবজির চাষ করে ব্যাপক বিনোদন পান তিনি। 
এবার ছাদে বাক্স পদ্ধতিতে ঝিঙে চাষ করে তাক লাগিয়ে দেন সবাইকে। মাচায় ঝুলে আছে ঝিঙে। মাচার ওপরে হলুদ ঝিঙে ফুলে ভ্রমর মৌমাছির উড়াউড়ি করছে। 
সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কুন্দরঘোড়া গ্রামের আবু সাঈদের বাড়ির ছাদে।
ইউরোপ প্রবাসী আবু সাঈদ জানান, তারা তিন ভাই ইউরোপের ইস্তাম্বুল, বেলারুশ ও স্পেনে থাকেন। তবে ইউরোপে থাকলেও কৃষির প্রতি তাদের দুর্বলতা রয়েছে। তিন ভাই বছরের বিভিন্ন সময় পালা করে দেশে আসেন। কৃষি ক্ষেত পরিচর্যা করেন। 
আবু সাঈদ জানান, গত দুই বছর আগে বাসার ছাদে কাঠ দিয়ে বাক্স বানিয়েছি। সেখানে মিষ্টি কুমড়ো চাষ করেছিলাম। প্রচুর মিষ্টি কুমড়ো হয়। আমার উৎসাহ বাড়ে। পরে ইস্তাম্বুল ও স্পেন থেকে আমার বড় ও ছোট ভাই আসে। তারাও কাজ শুরু করে। 
আবু সাঈদ বলেন, গত মাসখানেক আগে বাসার ছাদে কাঠের বাক্স তৈরি করে তা বসাই ছাদ থেকে অন্তত দেড় ফুট উঁচুতে। জৈব সার দিয়ে মাটি প্রস্তুত করি। সেখানে ৩৫টি ঝিঙে বীজ রোপণ করেছি। মাত্র এক মাসেই ছাদ বাগান থেকে দেড় মণ ঝিঙে পেয়েছি। দেড় মণ ঝিঙে থেকে ৩০ কেজি আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বিলিয়েছি। বাকি ৩০ কেজি ৩০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। মূলত শখের বসেই শাক-সবজি চাষ করেছি। 
আবু সাঈদ জানান, গত দুই বছর আগে চিন্তা করেছি বাসার খালি ছাদটাকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়। সেই চিন্তা থেকে কাজ শুরু করি। কাঠ দিয়ে বাক্স তৈরি করে নানান জাতের সবজির চাষ করি। এ কাজে বীজ ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেন জেলার কৃষি কর্মকর্তারা। 
এ বিষয়ে সদর দক্ষিণ উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাহিদা খাতুন জানান, প্রবাসী আবু সাঈদ একজন কৃষি উদ্যোক্তা। তার উৎসাহের কারনে উন্নত জাতের ঝিঙের বীজ দেই। তিনি আমাদের পরামর্শ গ্রহণ করেন। ঝিঙের চমৎকার ফলন হয়। 
তিনি আরও জানান, এই এলাকায় যাদের বাসায় ছাদ রয়েছে তারা এখন বাক্স পদ্ধতিতে সবজি চাষে উৎসাহিত হচ্ছে। এতে করে পরিবারের ভিটামিনের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত বাজারে বিক্রি করে অর্থসংস্থানও হচ্ছে। 

সূত্র: বাসস