দলিত নারীরা সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ০৮:১৩ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০৯:১৩ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ রবিবার
জাত ও পেশাগত পরিচয়ের কারণে দেশে প্রায় ৬৫ লাখ দলিত জনগোষ্ঠী প্রতিনিয়ত বৈষম্যের শিকার হয় যার অধিকাংশই নারী। দলিত নারীদের পিছিয়ে পড়ার বিষয়টি আমাদের ব্যথিত করে। এই নারীদের পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ তাদের প্রতি বৈষম্য। দলিত নারীর প্রতি নির্যাতন ও বৈষম্য নিরসনে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে একত্রে কাজ করতে হবে।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দলিত নারীর পিছিয়ে পড়ার কারণ অনুসন্ধান এবং সামনে এগিয়ে আনতে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
নাগরিক উদ্যোগ-এর সহায়তায় এবং বাংলাদেশ দলিত নারী ফেডারেশন, দলিত নারী ফোরাম, বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন এ সভার আয়োজন করে।
সভায় বক্তারা বলেন, সমাজে দলিত নারীরা সাধারণত দুইভাবে বৈষম্যের শিকার হন। দলিত নারী হিসেবে বৃৎত্তর সমাজে এবং নারী হিসেবে নিজ জনগোষ্ঠীতে তারা বৈষম্যের শিকার। পারিবারিক ও সামাজিক সহিংসতা, বঞ্চনা ও বৈষম্যকে পেছনে ফেলে তাদের জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন। ফলে তারা অনেক পেছনে পড়ে থাকে।
দলিত নারীর প্রতি নির্যাতন ও বৈষম্য নিরসনে আলোচকগণ নারীর উচ্চশিক্ষা এবং নারীর অর্থনৈতিক মুক্তির ওপর গুরত্ব আরোপ করেন।
বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার নারীবান্ধব সরকার। বর্তমানে দলিত জনগোষ্ঠীকে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়েছে। দলিত কিশোরীদের বাবা-মায়েদের সচেতন করার মাধ্যমে শিক্ষায় দলিত নারীদের অভিগম্যতা বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের পাশপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
তারা বলেন, দলিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে বাল্যবিবাহের হার অনেক বেশি। এই জনগোষ্ঠীর শিক্ষার পথ সুগম করতে হলে সর্বপ্রথম বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা দরকার। এ ছাড়া নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের সঙ্গে তাদের পরিবারে এবং সমাজে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা উপভোগের বিষয়টি জড়িত।
বাংলাদেশ দলিত নারী ফেডারেশনের সভাপতি মনি রাণী দাসের সভাপতিত্বে সভায় প্রাথমিক বক্তব্য উপস্থাপন করেন দলিত নারী ফোরামের সদস্য তামান্না সিং বাড়াইক। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৃ-বিজ্ঞানী ও গবেষক রাবেয়া রওশন, অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন প্রমুখ।
