ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩, ডিসেম্বর ২০২৫ ৯:১৭:০১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

জনগণ বিএনপিকে ভোটের মাধ্যমে চির বিদায় করবে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ০৯:৫০ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ০৮:৩৬ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ কখনও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ও দুর্নীতিবাজ বিএনপিকে ভোট দেবে না। ভোটের মাধ্যমে জনগণ তাদের চিরবিদায় করবে।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রোববার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং ৪৭ তম বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে এসব কথা বলেন।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আর কোনদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না। জনগণই ক্ষমতায় আসতে দেবে না তাদের। স্বাধীনতার সুফল নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না।


শেখ হাসিনা বলেন, ‘সিঙ্গাপুরের কোর্ট এবং আমেরিকার ফেডারেল কোর্টই বলেছে, খালেদা জিয়ার ছেলেরা মানি লন্ডারিং করেছে। এটা তাদের কাছেই ধরা পড়েছে, যে টাকা আমরা উদ্ধার করেছি। কাজেই এরা কোন মুখে জনগণের কাছে গিয়ে দাঁড়াবে। কোন মুখে জনগণের কাছে ভোট চাইবে।’


প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা স্বাধীন দেশে বিশ্বাস করে, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে তারা কিভাবে মেনে নিতে পারে সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় বসানো। তাদের সন্তান-সন্তুতিকে নিয়ে দল গঠন করা, যেটি খালেদা জিয়া এবং ঐ বিএনপি করেছিল। তাহলে আমার প্রশ্ন এই দলকে যারা সমর্থন করেন তারা কিভাবে করেন।

 

 

তিনি বলেন, আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। আজকে দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে এবং আপনারা দেখেছেন এবারের বিজয় দিবস সর্বস্তরের জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে। সব থেকে ভালো লেগেছে এদেশের তরুণ সমাজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যেভাবে নতুন করে উজ্জীবিত হয়েছে, জাগ্রত হয়েছে তাতে আমরা আশার আলো দেখি-বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ উন্নত হবে। বাংলাদেশ সমৃদ্ধশালী হবে।


প্রধানমন্ত্রী এ সময় জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের প্রামান্য দলিল হিসেবে ওয়ার্ল্ড মেমোরি রেজিষ্টারে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ সারাবিশ্বে জাতি হিসেবে অনন্য মর্যাদা পেয়েছে। বাঙালি জাতি এখন বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলছে, আগামীতেও মাথা উঁচু করে চলবে, সেটাই হবে আমাদের আজকের দিনের প্রতিজ্ঞা।


সরকার প্রধান বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। স্বাধীনতার সুফল আজকে বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাচ্ছে। এই সুফল নিয়ে বাংলার মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কখনো কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। ছিনিমিনি খেলতে আমরা দেব না। 


তিনি বলেন, কি দুর্ভাগ্য এদেশের, যারা রক্ত দিল, যারা যুদ্ধ করলো তারাই যেন অপরাধী হয়ে গেল। আর যারা পাকিস্তানী হানাদারবাহিনীর দালালি করলো, যারা গণহত্যা চলালো, যারা মা-বোনদের ধর্ষণ করলো তাদেরই ক্ষমতায় বসানো হলো। আর এদের ক্ষমতায় বসিয়েছিল কে? সেও একজন মুক্তিযোদ্ধা, তাকে বড়ো খেতাবও দেয়া হয়েছিল, সে ছিল একজন মেজর। জাতির পিতাই তাকে প্রমোশন দিয়ে দিয়ে বানালেন মেজর জেনারেল। সে হচ্ছে বেইমান, মোনাফেক জিয়াউর রহমান। 


আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জিয়াউর রহমান একাই নয়, খালেদা জিয়া, এরশাদ সবাই এই খুনী ও পাকবাহিনীর দোসরদের খোশামোদী-তোষামোদী করেছেন। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেতো আরো একধাপ উপরে উঠলেন, এদের হাতে তুলে দিলেন লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত পতাকা, এদের বানালেন মন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাঙ্গা স্যুটকেস আর ছেড়া গেঞ্জি থেকে আগে জাহাজ রেবিয়েছে কোকো ১,২,ইন্ডাস্ট্রি বেরিয়েছে, এখন আবার শপিং মল বেরোচ্ছে, ফ্লাট বেরোচ্ছে, হাজার হাজার কোটি টাকা বের হচ্ছে। বাংলাদেশের ব্যাংকের থেকে ৯শ ৫০ কোটি টাকা যারা লুটে নিয়ে গেছে তারা আবার স্বপ্ন দেখে ক্ষমতায় যাবার, রাজনীতি করার।


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আলোচনা সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন। সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবং বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দিন হোসেনের পুত্র শাহীন রেজানুর, কেন্দ্রিয় কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান বক্তৃতা করেন।


অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড.হাছান মাহমুদ এবং উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।