খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বিনিময়
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ০৯:৪৫ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:৩৩ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ শুক্রবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে জন্ম নেয়। একাত্তরে সকল ধর্মের মানুষ দেশকে স্বাধীন করার জন্য যুদ্ধ করেছিল। তাই জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে দেশের সকল মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগের অধিকার রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী আজ বিকেলে গণভবনের সবুজ চত্বরে বড়দিন উপলক্ষে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় এ কথা বলেন।
তিনি বড়দিনের প্রাক্কালে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সুখি ও সমৃদ্ধ জীবন কামনা করেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে কাজ করার জন্য খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ধর্ম যার যার এবং উৎসব সবার। বর্তমান সরকার দেশের সকল মানুষ যাতে একত্রে ধর্মীয় উৎসব ও জাতীয় কর্মসূচি পালন করতে পারে সেজন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
পোপ ফ্রান্সিসের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার ঢাকা সফরে কেবল মাত্র খ্রীস্টান সম্প্রদায়ই নয়, সকল ধর্ম ও বিশ্বাসের লোকরা তাকে দেখে খুশি হয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের পাশে থাকতে আহ্বান জানানোর জন্য পোপের প্রতি ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, আর্চবিশপ প্যাট্রিক ডি রোজারিও ক্যাথেলিক চার্চের প্রথম বাঙালি কার্ডিনাল হওয়ায় বাংলাদেশের মানুষ গর্ব বোধ করছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আর্চবিশপ প্যাট্রিক রোজারিও পোপ ফ্রান্সিসের বাংলাদেশ সফরকালে তার সরকারের সবধরনের সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।
সরকারের গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থার ভূয়সী প্রশংসা করে প্যাট্রিক ডি রোজারিও বলেন, সারা দেশ থেকে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের লোক ঢাকায় আসে এবং নিরাপদে তারা বাড়িতে ফিরেছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ভাইস প্রিন্সিপাল রেমন আরেঙ, বাংলাদেশ খ্রীশ্চিয়ান এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি জুয়েল আরেঙ এমপি, এসোসিয়েশনের সম্পাদক নির্মল রোজারিও এবং এশিয়া প্যাসেফিক এলায়েন্স অব ওয়াইএমসিএস সভাপতি মার্কাস গোমেজ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের উপস্থিতিতে বড়দিনের কেক কাটেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে খ্রীস্টমাস ক্যারল গান।
শুরুতে দেশের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি কামনা করে যিশু খ্রীস্টের আর্শীবাদ চেয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
