ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, এপ্রিল ২০২৪ ১৭:০৯:১৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বউ পেটানো ঠিক মনে করেন ৮৩ ভাগ নারী!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:০৫ এএম, ২৯ নভেম্বর ২০২১ সোমবার

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিগ্রহের শিকার হওয়া নারীরাই মনে করছেন স্বামী যদি স্ত্রীকে পেটান তাহলে দোষের কিছু নেই। শ্বশুরবাড়ির লোকেদের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশই স্বামীর মারধরের প্রধান কারণ বলছেন তারা।

সম্প্রতি ভারতের একটি সমীক্ষায় পাওয়া গেছে, তেলেঙ্গানার ৮৩ দশমিক ৮ শতাংশ নারী মনে করছেন বৌ পেটানো ঠিক। নারীদের ‘হ্যা’ সুচকে তেলেঙ্গানা যেমন শীর্ষে তেমনি পুরুষদের ক্ষেত্রে শীর্ষে কর্নাটক। এই প্রদেশের ৮১ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ মনে করেন স্ত্রীকে মারধর করা উচিত।

পশ্চিমবঙ্গসহ ১৩টি রাজ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়। তাতে মারধরের কারণ সম্পর্কে নারীরাই নারীদের দোষারোপ করেছেন। ২০১৯-২১ সালের মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয় পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, গোয়া, গুজরাট, হিমাচলপ্রদেশ, কর্নাটক, কেরালা, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, মেঘালয়, মিজ়োরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, তেলঙ্গানা, ত্রিপুরা এবং কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে।

সমীক্ষায় প্রশ্ন ছিল, ‘স্বামী যদি স্ত্রীকে আঘাত করেন বা মারধর করেন, আপনার মতে তা কি যুক্তিসঙ্গত?’ তাতে পুরুষদের পাশাপাশি বেশিরভাগ নারীই ‘হ্যা’ সুচক উত্তর দিয়েছেন। তবে এই প্রশ্নে ‘হ্যা’ সুচক সব থেকে কম পড়েছে হিমাচলপ্রদেশে। এই রাজ্যের মাত্র ১৪ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ নারী মনে করেন কাজটা ঠিক। অন্ধ্রপ্রদেশের ৮৩ দশমিক ৬ শতাংশ, কর্নাটকের ৭৬ দশমিক ৯ শতাংশ, মণিপুরের ৬৫ দশমিক ৯ শতাংশ এবং কেরালার ৫২ দশমিক ৪ শতাংশ ‘হ্যা’ সুচক উত্তর পাওয়া গেছে।

আবার বৌ পেটানোর কারণগুলোও উঠে এসেছে সমীক্ষায়। এর মধ্যে স্বামীকে না বলে বাইরে যাওয়া, সংসার বা সন্তানদের অবহেলা করা,  স্বামীর সঙ্গে তর্ক করা, স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে না চাওয়া, ভালো রান্না না করা, স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক আছে মনে করে স্বামীর সন্দেহ ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের ‘অশ্রদ্ধা’ করা।

সমীক্ষা বলছে, পশ্চিমবঙ্গসহ ১৩টি রাজ্যের নারীদের মতামত, শ্বশুরবাড়ির লোকেদের স্ত্রীর অশ্রদ্ধাই পারিবারিক কলহের প্রধান কারণ। দ্বিতীয় কারণ হলো, সংসার ও সন্তানদের অবহেলা। এই সম্ভাব্য কারণের তালিকায় সবার নিচে পরকীয়া। কিন্তু মিজ়োরামের নারীদের মতে সেটিই আবার প্রধান কারণ।

নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ডিরেক্টর সারদা এ এল বলেছেন, এটি এক ধরনের পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব, যা নারীদের একাংশের মনের মধ্যে গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে। তারা মনে করেন পরিবার ও স্বামীর সেবা করে যাওয়াটাই তাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। 
সূত্র: আনন্দবাজার।