জার্মানিতে শিক্ষার্থীদের জন্য ‘সুবজ ক্লাসরুম'
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ০২:১৭ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৬:১৬ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার
জার্মানির একটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের জন্য ‘সুবজ ক্লাসরুম` চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিষয়ে উৎসাহী করে তোলা হচ্ছে৷ কর্তৃপক্ষের আশা, স্কুলে শেখা বিষয়গুলো শিক্ষার্থীরা নিজেদের বাড়িতেও কাজে লাগাবে৷ জার্মান রেডিওর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘাস কাটার যন্ত্রকে কীভাবে পরিবেশবান্ধব করে তোলা যায় তা শিখছে সবুজ ক্লাসরুমের শিক্ষার্থীরা। সৌরশক্তি দিয়ে যন্ত্রটি চালানোর পাশাপাশি সেটি যেন নির্দিষ্ট স্থানেই চলাফেরা করে তা নিশ্চিত করতে স্কুলের মাঠের চারপাশে মাটির নিচে তার বসিয়ে দেয়া হয়েছে৷
এ প্রসঙ্গে এই স্কুলের ছাত্র টোবিয়াস ব়্যুলকে বলেন, মাটির নিচে বসানো এই তার ঘাস কাটা রোবট যন্ত্রের জন্য সীমানা হিসেবে কাজ করবে৷ যন্ত্রটি এই তারের কাছে আসা মাত্র দিক পরিবর্তন করবে৷
শিক্ষকরাও এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। ব্যার্বেল ল্যুডকে জীববিজ্ঞান ও রসায়ন পড়ান৷ তিনি তার শিক্ষার্থীদের পরিবেশ রক্ষার গুরুত্ব বোঝাতে চান৷ ক্লাসের ফাঁকে সবুজ ক্লাসরুমে কাজ করেন তিনি৷
ল্যুডকে বলেন, আমি চাই, আমরা শিক্ষার্থীদের এখানে যা শেখাচ্ছি সেটা তারা বাসায়ও কাজে লাগাক৷ যেমন, যেখানে সেখানে সবকিছু ছুড়ে না ফেলা, বাগানে ময়লা না পোড়ানো। কিংবা পরিবেশ দূষণ করে এমন গাড়ি না চালানো প্রভৃতি। কীভাবে সম্পদ সংরক্ষণ করতে হয় তা তাদের জানা প্রয়োজন।
স্কুলের সাবেক ছাত্র হানেস ফ্যোলশ এখন স্থানীয় এক কোম্পানিতে জ্বালানি উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। স্কুলের সৌরশক্তি ব্যবস্থার নকশায় সহায়তা করছেন তিনি৷ নিজের স্কুলের কাজ দেখে খুবই সন্তুষ্ট হানেস৷
তিনি বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ যে এমন একটা প্রকল্প গুরুত্ব সহকারে বাস্তবায়ন করছে, সেটা প্রশংসাযোগ্য৷ এটা শুধু অর্থের ব্যাপার নয়৷ এখানে তারা সেটা পেয়েছে৷ আর এখান থেকে আরও ছোট ছোট প্রকল্প শুরু হয়েছে৷ যেমন ঘাস কাটার এই যন্ত্র। এটি খুবই আশাপ্রদ ব্যাপার।
স্কুলের ছাদে অনেকগুলো সৌরপ্যানেল বসানো হয়েছে৷ এটি একদিকে পরিবেশবান্ধব, অন্যদিকে খরচ কমায়৷ পুরো স্কুলের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটায় এটি৷ বাকিটা গ্রিডে পাঠানো হয়৷
এছাড়া একটি অ্যাপের সাহায্যে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রয়োজন না থাকলে লাইটের সুইচ বন্ধ করতে উৎসাহিত করা হয়৷ এ সম্পর্কে কালভিন এমকে বলেন, যতবার আপনি এরকম এতটি কিউআর কোড স্ক্যান করবেন, একটি পয়েন্ট পাবেন৷ যে বেশি পয়েন্ট পাবে সে জ্বালানি সাশ্রয়ের চ্যাম্পিয়ন হবে।
