ঢাকা, সোমবার ২৯, এপ্রিল ২০২৪ ১৪:১৩:২৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ফোর্বসের থার্টি আন্ডার থার্টি তালিকায় বাংলাদেশের বাশিমা

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:০১ পিএম, ২ ডিসেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

মহাজগত থেকে শুরু করে সমুদ্রের তলদেশের কোরাল, পথচারী থেকে নভোচারী—সব বিষয়ে নতুন নতুন উদ্ভাবনে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালানো সফল বিশ্বের শীর্ষ ৩০ তরুণ-তরুণীর তালিকা প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রভাবশালী সাময়িকী ফোর্বস। বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ফোর্বসের সেই থার্টি আন্ডার থার্টি তালিকায় বাংলাদেশি প্রকৌশলী বাশিমা ইসলাম জায়গা করে নিয়েছেন।

বুধবার ফোর্বস তাদের চলতি বছরের বিজ্ঞান ক্যাটাগরির সেরা ৩০ তরুণ-তরুণীর এই তালিকা প্রকাশ করেছে। ফোর্বসের ওয়েবসাইটে বাশিমা ইসলাম সম্পর্কে বলা হয়েছে, বাশিমা ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের ওরকেস্টার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে (ডব্লিউপিআই) যোগ দিতে যাচ্ছেন। তিনি ব্যাটারি ছাড়াই কাজ করার জন্য পরবর্তী প্রজন্মের ইন্টারনেট ব্যবহারযোগ্য ডিভাইস তৈরির কাজ করছেন।

প্রত্যেক বছর মার্কিন এই সাময়িকী ২০টি ক্যাটাগরিতে বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা ৩০ বছরের নিচের শীর্ষ ৩০ জন করে ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করে। সেই ক্যাটাগরিগুলোর একটি বিজ্ঞান; যেখানে এবার বাংলাদেশের প্রকৌশলী বাশিমা ইসলাম জায়গা করে নিয়েছেন।

ডব্লিউপিআইয়ের ওয়েবসাইটে বাশিমা ইসলাম বলেছেন, ‘আমার গবেষণার আন্তঃবিভাগীয় বিষয়ের মধ্যে রয়েছে মেশিন লার্নিং, মোবাইল কম্পিউটিং এবং এমবেডেড সিস্টেম।’

২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনা থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে পিএচডি করেছেন বাশিমা। এর আগে, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়ে অধ্যাপক ন্যান্সি ম্যাক এলওয়েন এবং অধ্যাপক রমিত রয় চৌধুরীর সাথে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন বাশিমা।

চলতি বছর ফোর্বস তাদের থার্টি আন্ডার থার্টির তালিকা প্রকাশের এক দশক উদযাপন করছে। অর্থাৎ গত ১০ বছর ধরে এই তালিকা প্রকাশ করে আসছে ফোর্বস। এ সময়ের মধ্যে মার্কিন এই সাময়িকী বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শীর্ষ ৬০০ উদ্যোক্তা, উদ্ভাবক এবং প্রভাবশালী বিনোদন তারকার তালিকা প্রকাশ করেছে। যারা নতুন এক বিশ্বের কল্পনাকে বাস্তব রূপ দিতে উদ্ভাবন আর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।