ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮, মার্চ ২০২৪ ১৫:২৩:১১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

মুক্তিযুদ্ধে হারিয়ে যাওয়াদের স্মরণে ‘আলোর স্মরণে কাটুক আঁধার’

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:০০ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২১ শুক্রবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আজ ১০ ডিসেম্বর বিকাল ৫.২০ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুক্তিযুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের স্মরণে নারীপক্ষ’র বিশেষ স্মরণ অনুষ্ঠান ‘আলোর স্মরণে কাটুক আঁধার’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 ১৯৮৮ সাল থেকে প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে বিজয় দিবসের প্রাক্কালে মুক্তিযুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের স্মরণে বিভিন্ন প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে নারীপক্ষ নিয়মিতভাবে “আলোর স্মরণে কাটুক আঁধার” অনুষ্ঠানটি উদ্যাপন করে আসছে।

 এবারের প্রতিপাদ্য “একাত্তরের যুদ্ধসন্তানদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি”।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুক্তিযুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের স্মরণ করে মোমবাতি জ্বালিয়ে জাতির বিবেকের কাছে ‘একাত্তরের যুদ্ধসন্তানদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি’র দাবী জানাই।

এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ‘আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে’ গানের সাথে সাথে মুক্তিযুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের স্মরণে উপস্থিত সকলে একটি করে আলোর শিখা জ্বালিয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। 

অনুষ্ঠানে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন নারীপক্ষ’র সদস্য রেহানা সামদানী। গান পরিবেশন করেন জলতরঙ্গ ও সোমা দাস। কবিতা আবৃত্তি করেন ভাস্বর বন্দোপাধ্যায় ও আসমাউল হুসনা আঁখি। স্মৃতিচারণ করেন রাজশাহীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস, তিনি যুদ্ধের সময়ের বিভিন্ন স্মৃতি তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের যুদ্ধ সন্তানদের সম্মানের সাথে স্বীকৃতির দাবি জানান। যুদ্ধ সন্তান সুধীর, তিনি তাঁর মায়ের সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার স্বীকৃতি ও অধিকারের দাবি করেন। যুদ্ধসন্তান মনোয়ারা আক্তার নিমসানা (মেীলভীবাজার), তিনি তাঁর মায়ের সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার স্বীকৃতি ও নিজের স্বীকৃতি এবং অধিকার দাবি করেন।আজ ১০ ডিসেম্বর, বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। আসুন, আজ এখানে মুক্তিযুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের স্মরণে প্রজ্জ্বলিত মোমবাতির আলোয় আমরা নিজেদেরকে আলোকিত করি, গড়ে তুলি শোষণ-বৈষম্যহীন একটি মানবিক বাংলাদেশ। যুদ্ধসন্তানদের নিয়ে ইতিহাসের অলিখিত অধ্যায়কে আলোকিত করতে এবং দেশে বিদেশে অবস্থানরত আমাদের সকল যুদ্ধসন্তানের বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও তাঁদের জন্ম অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে উদ্যোগী হই, কার্যকর ভূমিকা রাখি।