বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন বাজার সৃষ্টি করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ০১:২০ পিএম, ১ জানুয়ারি ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০২:৩৯ পিএম, ২ জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের পণ্য বিভিন্ন দেশে রপ্তানির জন্য নতুন নতুন বাজার খুজতে হবে। প্রতিযোগী দেশগুলোর সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যে টিকে থাকতে হলে দক্ষতা বাড়াতে হবে। বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও নতুন বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
সোমবার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার রোল মডেল। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে বিস্ময়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আমরা ৩৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করেছি। রপ্তানি আরো বাড়াতে আমাদের নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি আমাদের ভিত্তি। কিন্তু শিল্পের সম্প্রসারণও আমাদের ঘটাতে হবে। শিল্প ছাড়া না হলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চাকা শক্তিশালী হবে না। কিন্তু কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে তা দিয়ে পণ্য তৈরি করে বাইরে রপ্তানি করতে হবে। রপ্তানি আয় বাড়াতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হয়েই আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হয়ে ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে চাই। আর ২০৪১ সালে আমরা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হতে চাই।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সুভাশীষ বসু, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ শীর্ষক একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়।
এবারের মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৫৮৯টি প্যাভিলিয়ন ও স্টল রয়েছে। এর মধ্যে ১১২টি বড় ও ৭৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন। থাইল্যান্ড, ইরান, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, হংকং, সিঙ্গাপুর, মরিশাস এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ৪৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এ মেলা উন্মুক্ত থাকবে। প্রবেশ টিকিটের মূল্য প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৩০ টাকা ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
