ঢাকা, রবিবার ১৪, ডিসেম্বর ২০২৫ ০:৪১:৫৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ভ্রুণ হত্যা! অমানবিক

প্রকাশিত : ০৮:২৬ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ শুক্রবার | আপডেট: ০৮:৪৯ এএম, ১১ অক্টোবর ২০১৩ শুক্রবার

Vrono Hottaঅনু সরকার, উইমেননিউজ করেসপন্ডেন্ট ঢাকা : রাজধানীর একজন বিশিষ্ট শিল্পপতির পুত্রবধু নাঈমার (ছদ্মনাম) শ্বশুর বাড়ির আদের্শে বারবার নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে কন্যসন্তানের ভ্রুণ। পুত্র সন্তান না হলে নাঈমার স্বামীকে কোন সম্পত্তি দেয়া হবে সাফ জানিয়ে দিয়েছে শ্বশুর। আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে কন্যাসন্তান জেনে পাঁচবার নষ্ট করা হয়েছে গর্ভের সন্তান। গত ৩ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে কন্যাসন্তান গর্ভে ধারণ করায় তসলিমা নামে (৩৮) এক গৃহ বধুকে হত্যা করা হয়েছে। আট মাসের অস্বঃসত্ত্বা তসলিমার আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে কন্যাসন্তান হওয়ার কথা জানতে পেরে পাষন্ড স্বামী সোহেল ও তার পরিবারের সদস্যরা তসলিমাকে নির্যাতন করে হত্যা করে। কুমিল্লার দেবিদ্বারের চরবাখর গ্রামের গৃহবধু সালামা দুটি কন্যাসন্তানের মা। একটি পুত্র সন্তানের আশায় স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকদের চাপে সে দু দুবার কন্যাসন্তানের ভ্রুণ নষ্ট করতে বাধ্য হয়েছে। শুধু নাঈমা, তসলিমা বা সালামাই নয় এধরনের অমানবিক পরিস্থিতির শিকার দেশের শত শত মেয়ে। স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির লোকজনের মুখ রক্ষা করতে গিয়ে তাদেরকে সন্তান বিসর্জন দিতে হচ্ছে মুখ বুজে। সমাজের পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং কিছু চিকিৎসকের অনৈতিক আচরণের কারণে দেশে অহরহ ঘটছে এমন পৈশাচিক ঘটনা। ধর্মীয় টানাপোড়েন এবং লজ্জাবোধের কারণে অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত নারীরা এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারছে না। অথচ যদি চিকিৎসকরা নৈতিকভাবে দৃঢ় থেকে বিষয়টি রোগীর অভিভাবককে প্রকাশ না করতেন তাহলে হাজার হাজার কন্যাশিশুর ভ্রুণ রক্ষা করা সম্ভব হতো। সমাজে কন্যাশিশুর প্রতি চরম অবহেলা এবং সনোলজিষ্ট চিকিৎসকদের নীতি-নিয়মহীন আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেশে গর্ভস্থ কন্যাশিশুর ভ্রুণ হত্যার অন্যতম কারণ হিসেবে কাজ করছে। চীন, জাপানসহ উন্নত বিশ্বের বেশ কিছু দেশে জন্মের আগে গর্ভস্থ শিশুটি মেয়ে না ছেলে এ তথ্য প্রকাশে সনোলজিষ্টদের প্রতি বিশেষ বিধি-নিষেধ থাকলেও বাংলাদশে সে ধরনের কোনো নিয়ম মানা হচ্ছে না। বরং কত কম সময়ের মধ্যে শিশুটির লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করা যায়, এ নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছেন দেশের সনোলজিষ্টরা। তাদের অনৈতিকতার কারণে প্রতিদিন শত শত কন্যা শিশুর ভ্রুণ পৃথিবীর আলো দেখতে পারছে না। সনোলজিষ্টরা বলছেন, আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টের জন্য অন্তঃস্বত্তা নারীরাই বেশি ভিড় করছেন এবং তাদের অনেকেরই উদ্দেশ্য, গর্ভস্থ শিশুটি মেয়ে না ছেলে তা জেনে নেয়া। তারা জানান, শতকরা ৯০ ভাগ কেসই এ ধরনের। এ অবস্থায় চিকিৎসকরা জন্মের অনেক আগেই শিশুর লিঙ্গ শনাক্ত ও প্রকাশ করাকেই নিজেদের পেশাগত সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করছেন। সংশিষ্ট চিকিৎসকরা অনৈতিক এ কাজে সবক্ষেত্রেই যে সফল হচ্ছেন, বিষয়টি তাও না। শুধু কন্যাশিশুর ভ্রুণ হত্যাই নয়, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও দক্ষতার অভাবে বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট দেবার ঘটনাও ঘটেছে। সম্প্র্রতি রাজধানীর বাড্ডা এলাকার নিউ মর্ডান হসপিটালে চিকিৎসাধীন একজন নারীর ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনার কথা জানা গেছে। নারীটি গর্ভধারণের ৫ মাসের মধ্যেই আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে জেনেছিলেন তিনি পুত্রসন্তান প্রসব করতে যাচ্ছেন। কিন্তু প্রসবের পর দেখা যায় সন্তানটি ছেলে নয় মেয়ে। নারীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বামী বলেন, একজনের কাছে নয়, একাধিক সনোলজিষ্টকে দিয়ে আমার স্ত্রীকে পরীক্ষা করিয়েছি। কিন্তু সবাই তারা ভুল তথ্য জানিয়েছেন। বিষয়টি সম্পর্কে একজন দায়িত্বশীল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ভাষ্য, আমার জানা মতে, এর চেয়েও দুঃখজনক ঘটনাও ঘটে যাচ্ছে। বিশেষ করে যাদের একাধিক মেয়ে সন্তান রয়েছে এবং পুনরায় আর কোনো মেয়ে সন্তান চাচ্ছেন না, তারা তাদের গর্ভস্থ শিশুটিকে মেয়ে হিসেবে জেনে যাবার পর গর্ভপাত ঘটাচ্ছেন। মিটফোর্ড ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে নিয়মিত অবস্থানকারী বিভিন্ন মেটারনিটি ক্লিনিকের কয়েকজন দালালের কাছে জিজ্ঞাসাবাদেও একই তথ্য পাওয়া গেছে। দালালরা জানান, এমআরএর সময় পেরিয়ে গেছে, হাসপাতালে ব্যবস্থা মিলছে না এমন গর্ভপাতে আগ্রহী মহিলাদের জন্যই তারা অপেক্ষায় থাকেন। নিরুপায় হয়ে তাদের শরনাপন্ন হওয়া মহিলার মধ্যে বেশ কয়েকজন স্বীকার করেন, আল্ট্রাসনোর মাধ্যমেই তারা মেয়ে সন্তান ধারণ করেছেন বলে জেনেছেন, কিন্তু তাদের স্বামীরা চাচ্ছেন না সংসারে আর কোনো মেয়ে সন্তান আসুক। একাধিক চিকিৎসক জানান, যাদের একাধিক মেয়ে সন্তান রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বেশি। অন্যদিকে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট গর্ভস্থ কিছু শিশুর জন্য মৃত্যু পরোয়ানা-এ নিয়ে ভিন্নমতও পোষণ করছেন সংশিষ্ট চিকিৎসকরা। লালাবাগ এলাকার ইস্টার্ণ ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের সনোলজিষ্ট ও মেডিসিন চিকিৎসক ডাঃ মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, ‘দক্ষ একজন সনোলজিষ্ট প্রেগনেন্সির সাড়ে ৪ মাস থেকে ৫ মাসের মধ্যেই বলে দিতে পারেন, শিশুটি মেয়ে না ছেলে। আমাদের কাছে বেশিরভাগ কেসই আসছে এটা জানার জন্য এবং তা জানাতেও চিকিৎসকরা দ্বীধা করছেন না। গর্ভস্থ শিশুর লিঙ্গ পরিচয় বলে দেয়াটাই যেন ইদানীং সংশিষ্ট চিকিৎসকের যোগ্যতা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। তবে যাদের একাধিক মেয়ে রয়েছে এবং গর্ভস্থ শিশুটিও মেয়ে সে ক্ষেত্রে আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের শিশুটির লিঙ্গ পরিচয় জানানো থেকে বিরত থাকি’। জন্মের আগে আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে লিঙ্গ পরিচয় জেনে মেয়ে শিশুর ক্ষেত্রে গর্ভপাতের ঘটনা ঘটছে, এ তথ্য স্বীকার করে তিনি জানান, অহরহ এধরনের ঘটনা ঘটছে। উচ্চবিত্ত থেকে নিুবিত্ত পর্যন্ত সকলেই পুত্র শিশুর আশায় কন্যা শিশুর ভ্রুণ নষ্ট করে ফেলছে। ভারতে আইন করে বিষয়টি নিষেধ করা হয়েছে। বাংলাদেশে এ ব্যাপারে কোন আইন নেই। এমন কি কে কোথায় কিভাবে এসব কাজ করছে সে ব্যাপরেও কোন মনিটরিং ও সার্ভে নেই। তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমাদের দেশে গর্ভপাত ধর্মীয়ভাবে নিষিদ্ধ সেহেতু এখানে বিষয়টি সেভাবে প্রকাশিত হচ্ছে না। কিন্তু মেটারনিটি ক্লিনিকগুলোতে হরহামেশাই গর্ভপাতের ঘটনা ঘটছে এবং গর্ভপাতের ফলে অনেক মায়ের মৃত্যুও হচ্ছে। অস্বীকার করার উপায় নেই আমাদের কাছেই এমন অনেক কেস আসে। অনুসন্ধানের সময় অধিকাংশই সনোলজিষ্ট জানান, তারা ছেলে শিশুদের ক্ষেত্রেই লিঙ্গ পরিচয় জানিয়ে থাকেন। মেয়ে শিশুর ক্ষেত্রে তা করেন না। কিন্তু ভুক্তভোগী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে তাদের বক্তব্যের সত্যতা মেলেনি। স্কুল শিক্ষিকা শাহিন রহমান বলেন, ‘ধানমন্ডির দেশ ডায়াগনষ্টিক থেকে গর্ভধারণের ৫ মাস পর আমি আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে সংশিষ্ট চিকিৎসকের কাছে মৌখিকভাবে জেনেছিলাম, আমি মেয়ে সন্তান ধারন করেছি। কিন্তু পরে আমি একটি পুত্র সন্তান জš§ দেই।’ এ প্রসঙ্গে ডাঃ মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, ‘ভুল হতেই পারে। আমি নিজেই গত কিছু দিনের মধ্যে তিনটি কেসের ক্ষেত্রে মেয়ে বলেছি। কিন্তু পরে ছেলে হয়েছে।’ তিনি জানান, আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে ভুল করে মেয়ে বলার সংখ্যাই বেশি। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সোসাইটি অব আল্ট্রাসনোগ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিনিয়র সদস্য বলেন, বিশেষ কিছু রোগ ছাড়া গর্ভস্থ শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ অনৈতিক। এ বিষয়ে ওয়ার্ল্ড আল্ট্রাসাউন্ড ফেডারেশনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। চীন ও জাপানে রাষ্ট্রীয়ভাবেও এটি নিষিদ্ধ। তিনি বলেন, আল্ট্রাসনোর মতো আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তির যাতে অনৈতিক ব্যবহার না ঘটে তার জন্যই আমরা আমাদের সোসাইটিকে সংগঠিত করেছি এবং সংগঠনের সকলেই আমরা গর্ভস্থ শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ না করতে অঙ্গিকারবদ্ধ। দেশে সনোলজি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ সুযোগের অপ্রতুলতা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে বিষয়টিকে ১৯৮০ সালে সর্বপ্রথম ইনষ্টিটিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিনের অন্তর্ভূক্ত করা হয়। পরে ১৯৮৬ সাল থেকে ডিপ্লোমা অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন কোর্সের আল্ট্রাসনোগ্রাফি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু আসন সংখ্যা খুবই সামান্য। ৫ থেকে ৬ জন মাত্র। তিনি জানান, বেসরকারিভাবে কিছু প্রতিষ্ঠানে এবিষয়ে স্বল্প মেয়াদে প্রশিক্ষণ দিয়ে অদক্ষ সনোলজিষ্ট তৈরি করা হচ্ছে। এদিকে কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরামের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার উইমেননিউজকে বলেন, আমাদের দেশে এবিষয়ে যদিও এখনো কোনো তথ্য নেই তার পরও দুয়েকটি কেসের কথা আমরা শুনি। বিষয়টি শুধু অনাকাংখিতই নয় চরম মানবতাবিরোধী এবং জঘন্য অপরাধ। এটি প্রতিরোধ করা জরুরী। আমরা এটি প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, ভারত, চীনসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে ব্যাপক হারে ভ্রুণ হত্যা চলছে। ভারতে এ অবস্থা ভয়াবহ। আমাদের দেশে যেন প্রভাব না পরে সেজন্য উদ্যোগ নিতে হবে। এশিয়ায় ১০ কোটি ১৭ লাখ কন্যাশিশুর ভ্রুণ হত্যা বিশ্বজুড়েই বাড়ছে গর্ভপাত। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও কানাডাসহ এশিয়াতেও আশঙ্খাজনকভাবে গর্ভপাতের হার ক্রমাগত বাড়ছে। আল্ট্রাসনোগ্রাফির অপব্যবহারের মাধ্যমে শিশুর লিঙ্গ চিহ্নিত করে গর্ভপাত ঘটানোর হার ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে এশিয়ায়। বিশেষত ভারতে মেয়েশিশু গর্ভপাতের হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। জাতিসংঘের ২০১১ এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এশিয়ার ১০ কোটি ১৭ লাখ কন্যাশিশুর ভ্রূণ হত্যার বড় অংশটিই হচ্ছে ভারতে। ফলে দেশটিতে দিন দিন কমে যাচ্ছে কন্যাসন্তানের সংখ্যা। ভারতের গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, প্রযুক্তির অপব্যবহারের কারণেই এ রকম নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। দম্পতিরা আল্ট্রাসাউন্ড মেশিনের মাধ্যমে গর্ভজাত সন্তানকে শনাক্ত করে এবং শিশুকন্যা হলে তার গর্ভপাত ঘটায়। এ অবস্থায় কিছু দিন আগে পোর্টেবল আল্ট্রাসনো মেশিন ব্যবহারের দায়ে মুম্বাইয়ের মেডিক্যাল কলেজের একজন রেডিওলজিস্টের বিরুদ্ধে সেখানকার হাইকোর্টে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আলজাজিরা সূত্রে জানা যায়, কন্যাশিশুর ভ্রূণ হত্যার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন ভারতের ডা. নিলাম সিং। লিঙ্গ বৈষম্যের কারণ সম্পর্কে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, দেশের প্রাচীন রীতিনীতিই মূলত গর্ভপাতের প্রধান কারণ। পরিবারের সদস্যরা মনে করেন বংশ রক্ষার জন্য ছেলেসন্তান জরুরি। এই ধ্যানধারণা যে শুধু অশিক্ষিত ও দরিদ্র পরিবারের বেশি তা নয়; শিক্ষিত ও ধনী পরিবারগুলোতেও একই ধরনের সংস্কৃতির চর্চা চলে। আর তাদের এই চিন্তাধারার কারণে বলি হচ্ছে শত-সহস্র কন্যাশিশুর ভ্রূণ। অর্থনৈতিক বৈষম্য কন্যাশিশু হত্যার অন্যতম প্রধান কারণ। ভারতের মতো আমাদের দেশে আশঙ্ক্ষাজনকভাবে মেয়ে ভ্রুণ হত্যা না হলেও ক্রমাগত ভ্রুণ হত্যা বাড়ছেই। আল্ট্রাসনোগ্রাফির অপব্যবহারের কারণে মেয়ে শিশু ভ্রুণ নষ্ট করছেন অনেকেই। বিশ্বজুড়েই এখন মানবাধিকার সংগঠনগুলো ভ্রুণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। পৃথিবীর আলো বাতাস উপভোগ করার আগেই মায়ের গর্ভেই শিশুকে হত্যা করা সহজাত প্রকৃতি বিরোধী। কাজেই সচেতন থাকতে হবে নারী-পুরুষ উভয়কেই। মানবতাবাদীরা মনে করেন, পৃথিবীর রং, গন্ধ, ফুল, পাখি দেখার অধিকার রয়েছে ভ্রুণ শিশুর। ৭ অক্টোবর’২০১৩