অ্যাথলেটিকস: ‘হার্ডলসের রাণী’ সেই সুমিতা রানী এখন...
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:০৮ পিএম, ৬ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার
ফাইল ছবি
‘এতদিন ধরে পায়ের ইনজুরিতে আছি, একবার খোঁজও নিলেন না ভাই’, আর্মি স্টেডিয়ামে জ্যাভলিন (বর্ষা) হাতে হাসিমাখা মুখে কথাগুলো বলেন এক সময়ে দেশের অ্যাথলেটিকসে ‘হার্ডলসের রাণী’ খ্যাত সুমিতা রানী।
প্রায় দুই দশক হার্ডলসের রাণী খেতাবটি ধরে রেখেছিলেন সুমিতা রানী। মাঝেমধ্যে দু-একবার কারো কাছে হারলেও ফের পুনরুদ্ধার করেছেন ১১০ মিটার হার্ডলসে সেরার খেতাব। পায়ের ইনজুরিতে খেলছেন না এবারও। তবে অ্যাথলেটিকস ছেড়ে দেননি বাংলাদেশ জেলের এই ক্রীাড়বিদ। নিজ দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে এসেছেন। তাদের উৎসাহ দিচ্ছেন।
দেশের অ্যাথলেটিকস যে কজন অ্যাথলেটের নাম প্রথমেই আসবে, তাদের সাঁরিতেই রাখতে হবে প্রায় ৩০ বছরে ছুঁই ছুঁই সুমিতাকে। ২০০৩ সালে জুনিয়র থেকে সিনিয়রে নাম লিখিয়েই স্বর্ণ জিতে প্রচারের আলোয় এসেছিলেন সুমিতা। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাননি। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ও সামার মিট মিলিয়ে ৯টি স্বর্ণ জিতে হার্ডলসে অনন্য নজির স্থাপন করেন সুমিতা। মাঝে ২০০৬ সালে কলম্বো সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমস ও ২০১০ সালে ঢাকা এসএ গেমসে (পাকিস্তানের কাছে ফটোফিনিশিংয়ে হার) দু’টি রুপা জিতেছেন সুমিতা। একবার কমনওয়েলথ অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপেও খেলেছেন সুমিতা। তারপর আর আন্তর্জাতিক আসরে ডাক পাননি।
নারীদের হার্ডলসে জাতীয় ও সামার মিলিয়ে ৯ বার স্বর্ণ জিতে নিজেকে করেছিলেন অপ্রতিরোধ্য। কিন্তু ইনজুরির কারণে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় সিনিয়র মিটে খেলতে পারেননি তিনি। এবারও তাই। এই সুযোগে তামান্নাই জিতেছেন হার্ডলসে সেরার খেতাব। তবে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে না নামলেও অ্যাথলেটিকসকে ভুলতে পারেননি। তার কথায়, ‘অ্যাথলেটিকস আমার রন্ধ্রে মিশে গেছে। কিভাবে ছেড়ে দেই বলুনতো। তাই খেলতে না পারলেও আমার দল বাংলাদেশ জেলের সঙ্গে এসেছি। ওদেরকে উৎসাহ দিচ্ছি। আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে পা ভালো হলে আবার ট্র্যাকে নামতে পারি।’
