ঢাকা, শনিবার ০৪, মে ২০২৪ ১৪:২৭:৪৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

দীর্ঘ বন্ধের আশঙ্কায় হল ছাড়ছেন ঢাবি ছাত্রীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:১০ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০২২ শনিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে জাতীয় সিদ্ধান্তের আলোকে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এ সময় ক্লাস ও পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ আবাসস্থলে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে হলে অবস্থান করার পরামর্শ দিলেও দীর্ঘ বন্ধের আশঙ্কা ও নিজেকে নিরাপদ রাখতে আবাসিক হল ছাড়তে দেখা যায় বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে।


শনিবার (২২ জানুয়ারি) রোকেয়া হল ও শামসুন্নাহার হলে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। তবে ছেলেদের কাউকেই হল ত্যাগ করতে দেখা যায়নি।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগের মতো এবারও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সময়সীমা বাড়ার আশঙ্কায় ভুগছেন তারা। এছাড়া হলে কয়েকজন শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত থাকাও তাদের হল ছাড়ার অন্যতম কারণ।

শামসুন্নাহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শিমা ইসলাম  বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সময়সীমা বাড়তে পারে। তখন যদি আবার লকডাউন বা অন্য কারণে বাড়ি না যেতে পারি তাই এখনই হল ছাড়ছি। তাছাড়া আমাদের পরীক্ষাও শেষ।

রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার বলেন, হলের প্রায় প্রত্যেকটি রুমেই কোনো না কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ। হলের চেয়ে বাড়িতেই নিরাপদে থাকতে পারব। যেহেতু অনলাইন ক্লাস হবে, তেমন কোনো সমস্যা হবে না। এছাড়া এই ছুটি কতদূর পর্যন্ত গড়ায় সেটাও জানি না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শামসুন্নাহার হলের প্রভোস্ট ড. লাফিফা জামাল বলেন, হলে গতকাল একজন ছাত্রী করোনা আক্রান্ত হয়েছে। আরও কয়েকজন অসুস্থ। হলে কোনোভাবেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্ভব না। যেহেতু দুই সপ্তাহ অনলাইন ক্লাস চলবে, সেক্ষেত্রে যারা একটু সচেতন তারা চলে যাচ্ছেন। এছাড়া যাদের জ্বর, সর্দি এমন কিছু ছাত্রীও বাসায় চলে যাচ্ছে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা দেইনি। তাদের নিরাপদ রাখতে আমাদের পক্ষ থেকে চেষ্টা অব্যাহত আছে।

প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সচিব ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যেহেতু দুই সপ্তাহ সশরীরে ক্লাস বন্ধ, সেহেতু শিক্ষার্থীদের যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার আছে। হলে করোনা সংক্রমণের বিষয়টি প্রশাসন সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন, নির্দেশনা দিচ্ছেন।