ঢাকা, মঙ্গলবার ৩০, এপ্রিল ২০২৪ ২:৫৫:০৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ভিসির পদত্যাগের সিদ্ধান্ত হয়নি, অনশন চলবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৪৪ এএম, ২৩ জানুয়ারি ২০২২ রবিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে ভিসির পদত্যাগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়ায় অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) গভীর রাতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে চলমান সংকট নিয়ে কোনো সমাধানে আসতে পারেননি আন্দোলনকারীরা। তবে শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারে আবারও অনুরোধ জানান শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো লিখিতভাবে জমা দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। আশ্বস্ত করেন, লিখিত দাবি পেলে সেগুলো সমাধানে উদ্যোগ নেবে সরকার।

আলোচনায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আবেদীন বলেন, আমাদের দাবি আমরা শিক্ষামন্ত্রীকে জানিয়েছি। উনার সময় সল্পতার কারণে আমাদের সঙ্গে বেশিক্ষণ কথা বলতে পারেননি। তবে রোববার আমাদের সঙ্গে আবারো বসবেন বলে জানিয়েছেন। এতে আমাদের সব দাবি দাওয়া লিখিতভাবে তাকে পাঠাতে বলা হয়েছে।

এর আগে শনিবার রাতে ঢাকায় নিজ বাসভবনে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, প্রয়োজনে তার প্রতিনিধিদল শাবিতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শিক্ষার্থীরা যখন কথা বলতে রাজি হবে তখনই প্রতিনিধি যেতে পারবে। পারিবারিক কারণে এখন তিনি নিজে সিলেটে যেতে পারছেন না।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জানুয়ারি আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলে নানা সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যার সমাধান চেয়ে তারা হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক জাফরিন আহমেদকে ফোন করেন। প্রভোস্টকে ফোন দিলে তিনি বলেন, ‘বের হয়ে গেলে যাও, কোথায় যাবে? আমার ঠেকা পড়েনি।’ শিক্ষার্থীরা বিষয়টি জরুরি উল্লেখ করলে তিনি বলেন ‘কীসের জরুরি? কেউ তো আর মারা যায়নি!’

এরপর প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ছাত্রীরা। প্রভোস্টের পদত্যাগের ওই আন্দোলন শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষের জেরে পরবর্তীতে ভিসির পদত্যাগ আন্দোলনে রূপ নেয়।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাস বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়। তবে ওই নির্দেশনা অমান্য করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। এরইমধ্যে অনেক শিক্ষার্থী অনশন করে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।