ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩, ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:৫১:৪৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

টিকা পাচ্ছেন ভাসমান জনগোষ্ঠী

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:৩৫ পিএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শনিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

শুরু হচ্ছে ভাসমান জনগোষ্ঠীকে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি। আজ বিকাল বা সন্ধ্যায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে শুরু হবে এ কার্যক্রম। প্রতিদিন অন্তত: কম-বেশি ১ হাজার মানুষকে লক্ষ্য ধরে ভাসমান জনগোষ্ঠীর প্রায় সবাইকে টিকার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. শামসুল হক। একই দিন কওমী শিক্ষার্থীদেরও টিকাদান কর্মসূচি চালু হবে বলেও জানান তিনি।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে শনিবার অধ্যাপক ডা. শামসুল হক বলেন, ভাসমান জনগোষ্ঠী বলতে যারা ফুটপাতে ঘুমায়, ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করে তাদের সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় কাউন্সিলর বা ওয়ার্ড কমিশনারদের পরামর্শ নেয়া হবে।

আমাদের বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) রয়েছে তাদের কাছে ভাসমান জনগোষ্ঠীর যে তালিকা রয়েছে সেসব তালিকা ধরে সবাইকেই টিকা দেয়া হবে। এরা সবাই পাবে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি জনসন এন্ড জনসনের টিকা। তবে এই ভাসমান জনগোষ্ঠীর মধ্যে যদি ১২ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে কেউ থাকে অর্থাৎ ভাসমান শিশুদের জন্য আলাদা কেন্দ্র করা হবে। আপানারা যেমনটি জানেন, শিশুদের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ফাইজারের টিকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। তাই তাদেরকে ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে যেসব কেন্দ্রে হয়তো নিয়ে গিয়ে টিকা দেয়া হবে। তিনি বলেন, এর আগে আমরা বস্তিতে টিকাদান কর্মসূচি পালন করেছি। এবার ভাসমান জনগোষ্ঠীর জন্য এ কার্যক্রম চালু করছি। লক্ষ্যমাত্রার কেউই টিকার আওতার বাইরে থাকবে না। অধ্যাপক ডা. শামসুল হক বলেন, আমাদের কাছে জনসনের ৬ লাখের মতো টিকা সংগ্রহে আছে। আর আসবে। আশা করছি টিকার সংকট হবে না।


কওমী শিক্ষার্থীদের টিকাদানের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রায় ৩০ লাখ কওমী শিক্ষার্থীকে ফাইজারের টিকা দেয়া হবে। এদের টিকাকেন্দ্র মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ নিজেরা বাছাই করে দিচ্ছে। যেসব মাদ্রাসা বড় এবং এসির ব্যবস্থা রয়েছে সেগুলোকেই কেন্দ্র করা হবে। আর উপজেলা পর্যায়ে আমাদের নির্ধারিত কেন্দ্রে এসে শিক্ষার্থীরা টিকা নেবে। তাদের সবাইকে ফাইজারের টিকা দেয়া হলে টিকার কোনো সংকট তৈরি হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ফাইজারের টিকা রয়েছে। আরও আসতাছে। টিকার সংকট হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এর আগে ৩০ জানুয়ারি এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, দেশের ভাসমান জনগোষ্ঠীকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া তিন লাখ ৩৬ হাজার টিকা ব্যবহার করা হবে। যেহেতু জনসনের টিকা এক ডোজ দিলেই হয়। তাই ভাসমানদের এই টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।


এসময় তিনি বলেন, ১২ বছর বা তার বেশি বয়সী শিশুদের সবাইকে টিকা দেওয়া হবে। এরই ধারাবাহিকতায় কওমী শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।