ঢাকা, শনিবার ২৭, ডিসেম্বর ২০২৫ ২:১০:৫৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

নারী নির্যাতনে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি সরকারের : চুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ১০:১২ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৮:৫৫ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০১৮ শুক্রবার

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিকে সামনে রেখে বিভিন্ন কাজ করছে। তবে সমাজ থেকে নারী নির্যাতন দূর করতে হলে সরকারি, বেসরকারি, এনজিও এবং দাতাগোষ্ঠীসহ সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

 

 

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সম্মেলনে নারী নির্যাতন ও নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন বিষয়ক কর্ম অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

 

 

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। বৈঠকে বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধিরা নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারকে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

 

 

এ কর্ম অধিবেশনের প্যানেল আলোচকদের বক্তব্যে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে বাল্যবিবাহের বিষয়টি গুরুত্ব পায়। তাঁরা বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করতে হলে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন জরুরি। বাল্যবিবাহের ফলে কিশোরীরা স্কুল থেকে ঝরে পড়ছে। কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পারছে না। অর্থনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত না হওয়ায় এ কিশোরীর ওপর নির্যাতনের মাত্রাও বাড়ছে।

 

 

অধিবেশনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম। মূল বক্তব্যে অধিকার সম্পর্কে নারীদের জানার পরিধি কম, নির্যাতনের শিকার নারীদের মামলা ব্যবস্থাপনায় সংবেদনশীলতার অভাব, নারীদের কাজের সীমাবদ্ধতা এবং বেতন বৈষম্য, সমাজের প্রচলিত ধ্যানধারণা, বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করা নারীদের সমস্যা, লিঙ্গভিত্তিক পরিসংখ্যানের অভাব, নির্যাতনের শিকার নারীদের জন্য বিভিন্ন সেবার অভাব এবং বাল্যবিবাহকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

 

এতে প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার এলিসন ব্লেক, ইউএন উইমেনের দেশীয় প্রতিনিধি সকো ইশিকাওয়া, বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট সেলিমা আহমাদ।

 

 

প্যানেল আলোচকেরা নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। তবে লিঙ্গভিত্তিক তথ্য থাকা, জেন্ডার বাজেটের বাস্তবায়ন এবং নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কার্যক্রমে বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদ দেন।