ঢাকা, শনিবার ২৭, ডিসেম্বর ২০২৫ ২:১৩:০৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

সংকুচিত হয়ে আসছে বাংলাদেশ: সুলতানা কামাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ১২:৩৬ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ১২:৩৪ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০১৮ সোমবার

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ ক্রমেই যেন সংকুচিত হয়ে আসছে। প্রতিটি নাগরিক সমান অধিকারের ভাগীদার। এটা সংবিধানে বলা আছে। আজকে রাজনীতির যে বিশেষ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তাতে দেখা যাচ্ছে, সেটার কারণে বাংলাদেশ যেন ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে।



শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদের দ্বিতীয় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

 

সুলতানা কামাল বলেন, ‘গত তিন বছরে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সংখ্যালঘুদের ওপর নানা ধরনের অত্যাচার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে ধর্ষণ, বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ, মন্দির-গির্জা-উপাসনালয় ঘিরে ফেলা, হুমকি দেওয়া, দেশ ছাড়তে বাধ্য করা, ধর্মান্তরিত করা, হয়রানিমূলক আচরণ করাসহ গরুর মাংস খাওয়ানোর মতো হীন আচরণ পর্যন্ত তাদের সঙ্গে করা হয়েছে।’

 

এমন ঘটনা প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে পাঁচটি ঘটেছে। সব মিলিয়ে, গত বছর এক হাজার চারটি ঘটনা ঘটে। ঘটনাগুলোর নৃশংসতা অত্যন্ত বর্বরোচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

 

সুলতানা কামাল বলেন, ‘দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, ঘটনাগুলোর কোনও রকমের কার্যকর বিচার এখনও হয়নি। যদি বিচার হতো, কোনও দীর্ঘসূত্রতা না থাকতো, যদি সত্যিকার অর্থে অপরাধীদের চিহ্নিত করে যথাসময়ে শাস্তির আওতায় আনা হতো, তাহলে এই ঘটনাগুলো এত ব্যাপকহারে ছড়িয়ে যেতে পারতো না। রাষ্ট্রের যে ভূমিকা ছিল, সেভাবে তা পালন করেনি।’

 

নারীরা সচেতন হলে সেই সংগ্রাম, আন্দোলন অনেক বেশি বেগবান হয় বলেও মন্তব্য করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই সাবেক উপদেষ্টা। এ কারণে তিনি নারীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

 

মহিলা ঐক্য পরিষদের এই অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত, শিক্ষাবিদ প্রতিভা মুৎসুদ্দী, বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদের সাবেক সভানেত্রী সাবিত্রী ভট্টাচার্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু ধর।

 

সম্মেলনে বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদের দ্বিতীয় ত্রি-বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠ করা হয়। প্রতিবেদনে গত তিন বছরে সংখ্যালঘু (ধর্মীয় ও জাতিগত) জনগোষ্ঠীর ওপর সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৮২ জন খুন হয়েছে। প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ২২৮টি, শ্মশান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি দখলের ঘটনা ২৭টি, গণধর্ষণ ১৫টি ও ২১ জন নিখোঁজ হয়েছেন ।