ঢাকা, শনিবার ২০, ডিসেম্বর ২০২৫ ০:০৩:০৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে অভিষেক হচ্ছে বাংলাদেশের

খেলাধুলা ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:৫০ পিএম, ২ মার্চ ২০২২ বুধবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

আগামী ৪ মার্চ থেকে নিউজিল্যান্ডের মাঠে গড়াচ্ছে নারীদের ক্রিকেট ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এই নিয়ে তৃতীয়বার নারীদের বিশ্বকাপ আয়োজন করবে নিউজিল্যান্ড। এবারের আসরে একমাত্র দল হিসেবে অভিষেক হচ্ছে বাংলাদেশ নারী দলের। 
আগামী  ৪ মার্চ শুরু হয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ৩ এপ্রিল। ১২তম ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর এটি।
১০ দলের এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিন মাঠে নামবে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দল। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা। ৫ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ।
পুর্ব নির্ধারিত সুচিতে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারি কারণে তা স্থগিত করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ২০২১ সালের স্থগিত হওয়া নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ এ বছর হচ্ছে।
স্বাগতিক হবার সুবাদে এবারের আসরে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে নিউজিল্যান্ড। ২০১৭-২০২০ সালের মধ্যে আইসিসি নারী চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে আরও তিন দলকে বিশ্বকাপে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষনা দিয়েছিল আইসিসি। কিন্তু ২০১৮ সালে নিয়মটি পরিবর্তন করে স্বাগতিক দলের সাথে তিন থেকে চারটি দল টুর্নামেন্টে উত্তীর্ণ হয়। বাকি তিনটি দলকে ২০২১ সালে নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব থেকে নেয়ার সিদ্বান্ত হয়।  
২০২১ সালের ২১ নভেম্বর থেকে জিম্বাবুয়ের মাটিতে নয়টি দল নিয়ে শুরু হয় বাছাই পর্ব । টুর্নামেন্টের ৯টি ম্যাচও অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু আসরের মাঝপথে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন অমিক্রন ছড়িয়ে পড়ায় বাছাই পর্ব বাতিল হয়। এরপর বাছাই পর্ব খেলা দলগুলোর মধ্যে ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে উপরের দিকে থাকা বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে খেলার ছাড়পত্র পায়।
বাছাই পর্বের খেলা স্থগিত হবার আগে গ্রুপ ‘বি’তে ৪ ম্যাচে ২ জয় ও ১টি করে হার ও পরিত্যক্ত ম্যাচের কারনে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে ছিলো বাংলাদেশ।  
নিউজিল্যান্ডের ছয়টি ভেন্যু সেডন পার্ক, ইডেন পার্ক, বে ওভাল, ইউনিভার্সিটি ওভাল ও বেসিন রিজার্ভে অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের ৩১টি ম্যাচ। ৩ এপ্রিল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ হবে ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে।
করোনা মহাামারি  বিবেচনায় রেখে একাদশ নিয়ে নতুন নিয়মও করেছে আইসিসি। কোভিড পরিস্থিতিতে কোন দলের অনেক ক্রিকেটার সংক্রমিত হলে  সর্বনিম্ন ৯ জন ক্রিকেটার নিয়েও ম্যাচ খেলা যাবে।
আইসিসির হেড অব ইভেন্ট ক্রিস টেটলি বলেন, ‘যদি কোনও দলের পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়, তবে প্রয়োজনে ৯ জনকে নিয়েও দল গড়া যাবে। সে ক্ষেত্রে তাদের ম্যানেজমেন্ট থেকে আরও দু’জনকে নেওয়া যাবে। ব্যাট-বল না করলেও ফিল্ডিং করতে পারবেন তারা। যাতে কোনও ভাবেই বিশ্বকাপে ব্যাঘাত না হয়, এজন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। সর্বশেষ ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত আসরের লন্ডন  ফাইনালে ভারতকে ৯ রানে হারিয়ে চতুর্থবারের মত শিরোপা জিতে ইংলিশরা। অস্ট্রেলিয়া সর্বোচ্চ ৬ বার শিরোপা জিতেছে। একবার শিরোপার স্বাদ পায়  নিউজিল্যান্ড।
১৯৭৩ আসর দিয়ে যাত্রা শুরু হয়  নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের। প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো স্বাগতিক ইংল্যান্ড। এ পর্যন্ত  টুর্নামেন্টের সব আসরে অংশ নেয়া তিনটি দল ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।
এবারের আসরে অভিষেক হচ্ছে বাংলাদেশ নারী দলের। নিজেদের অভিষেক বিশ্বকাপ স্মরনীয় করে রাখতে চায় বাংলাদেশ দল। সম্প্রতি আইসিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা আমাদের সবার জন্য বড় সুযোগ। এটা আমাদের প্রথম বিশ্বকাপ।আমরা এখানে  ভালো করতে পারলে  সেটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য বড় একটি ব্যাপার হবে।’
ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজেদের উন্নতি ও অগ্রগতি বিশ^ মঞ্চে দেখাতে চায় বাংলাদেশ। নিগার বলেন, ‘পুরো বিশ্বকে আমাদের উন্নতি ও অগ্রগতি দেখানোর বড় সুযোগ এটি। আমরা যে লড়াই করতে পারি এবং জিততেও পারি, এটা দেখানোর বিশাল সুযোগ এবার।’
টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে  ৫ মার্চ, ১৪ মার্চ পাকিস্তান, ১৮ মার্চ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২২ মার্চ ভারত, ২৫ মার্চ অস্ট্রেলিয়া ও ২৭ মার্চ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।
এদিকে, প্রতিযোগিতার লিগ পর্বের ১৫ ম্যাচ অফিসিয়ালের  নাম ঘোষণা করে আইসিসি। অফিসিয়ালদের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ।
এই আসরের জন্য প্রাইজমানিও দ্বিগুন করেছে আইসিসি। সবমিলিয়ে এই আসরে দেয়া হবে ৩৫ লাখ ডলার। গত আসরের চেয়ে ১৫ লাখ ডলার বেশি। যা গত আসরের চেয়ে ৭৫ শতাংশ বেশি।
আসরের চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার। ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে হওয়া আসরের   দ্বিগুণ।
রানার্স-আপ দলকে দেওয়া হবে ৬ লাখ ডলার। যা গত আসরের চেয়ে ২ লাখ ৭০ হাজার ডলার বেশি।