নারী এগিয়ে গেলে দেশ এগিয়ে যাবে : শাজাহান খান
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ১১:০৬ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:০১ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ রবিবার
নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, নারীদের পিছিয়ে রেখে নয়, তাদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে এগিয়ে নিলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব। নারী এগিয়ে গেলে দেশ এগিয়ে যাবে। নেতৃত্ব তৈরির স্থান সংগঠন। উন্নয়নের প্রতিটি সূচকে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হলে নারীকে নেতৃত্ব পর্যায়ে গড়ে তোলার কাজে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
মন্ত্রী আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বিয়াম ভবনে ‘সমতার পথে নারীশ্রমিক নেতৃত্বের যাত্রা’ শীর্ষক নারী শ্রমিক সম্মিলন ২০১৮’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে নারীকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে লক্ষ্যে নারীর প্রতি সহনশীল আচরণ ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গীর মাধ্যমে তাকে কর্মক্ষেত্র ও পরিবারে সুযোগ তৈরিতে সহযোগিতা করার প্রয়োজন রয়েছে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, কেয়ার বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়ান ডেভেলপমেন্ট কোÑঅপারেশন ও নারী শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন কর্মজীবী নারী এই সম্মিলনের আয়োজন করে।
কর্মজীবী নারী’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, বাংলাদেশ গার্মেন্টস টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শামিমা আক্তার শিরিন, কেয়ার বাংলাদেশ এর পরিচালক হুমায়রা আজিজ ও কর্মজীবী নারীর নির্বাহী পরিচালক ও নাট্যজন রোকেয়া রফিক বেবী।
শিরিন আখতার বলেন, পুরুষশাষিত সমাজে নারীর এগিয়ে আসার পথ চ্যালেঞ্জিং। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নারীর জন্য সংকট তৈরি করছে। তারা নারীকে ঘরের ভেতরে পাঠাতে চায়। এতে নারীর রক্ষা হবে না। তাকে সকল প্রতিকূলতা পেরিয়ে বাইরে আসতে হবে এবং তার মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে হবে সাহসী হয়ে।
তিনি বলেন, যেসব নারী সমাজে সফল হয়েছে তাদের সাফল্যগাঁথা সবার সামনে বেশি করে উপস্থাপিত হলে অনেক নারী তার অধিকার ও যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে পারবে।
এ সম্মিলনে উপস্থাপিত ঘোষণাপত্রে ২০২০ সালের মধ্যে ট্রেড ইউনিয়নসহ সর্বস্তরে অর্ধেকের বেশি নারী-প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা এবং ট্রেড ইউনিয়নের দায়িত্বশীল পদে মনোনয়নসহ নারী শ্রমিকদের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং নারীÑপুরুষ শ্রমিকের পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়াও শ্রম আইন সংশোধন করে শ্রমিক স্বার্থবিরোধী ধারা পরিহার করে আধুনিক এবং যুগোপযোগী শ্রম আইন করা, নারী শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা, পোশাক শিল্প কারখানায় যৌন হয়রানি বন্ধে ২০০৯ সালে হাইকোর্টের নীতিমালা বাস্তবায়নের কথা ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে দিনব্যাপী আয়োজিত এ সম্মিলনের উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। এসময় সারাদেশ থেকে আগত নারী নেতৃবৃন্দ তাদের সংগ্রামী জীবনের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।