স্ত্রীকে দেখতে সমুদ্রপথে ভেলায় চেপে ২ হাজার কিমি পাড়ি!
অনলাইন ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৫:১৭ পিএম, ৮ এপ্রিল ২০২২ শুক্রবার
সংগৃহীত ছবি
দীর্ঘ দুই বছর স্ত্রীর দেখা পান না তিনি! এ দুই বছর দূরে থাকা এক যুগ বলে মনে হয়েছিল ভিয়েতনামি এই যুবকের কাছে। না হলে এতটা ঝুঁকি নিয়ে কেউ স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে বের হন!
ভিয়েতনামের বাসিন্দা ৩৭ বছরের হো হোয়াং হাং। ভারতের মুম্বাইয়ে স্ত্রীকে দেখতে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দেওয়ার ঝুঁকি নিয়েছেন। সামান্য ভেলায় চেপে তিনি ছুটেছিলেন স্ত্রীর দেখা পেতে।
যদিও স্বামী হোয়ের মনোবাসনা পূরণ হয়নি। গত ১৬ মার্চ তাকে থাইল্যান্ডের জলসীমায় আটকে দিয়েছে সে দেশের নৌরক্ষীরা। থাইল্যান্ডের মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে সিমিলান দ্বীপের সুমদ্রে হো’কে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি। তার সঙ্গের মালপত্র দেখে অবশ্য চোখ কপালে ওঠার জোগাড় নৌরক্ষীদের।
দুই হাজার কিলোমিটারের যাত্রাপথ পাড়ি দেওয়ার জন্য র্যাফটিং করার একটি ভেলায় নিজেকে ভাসিয়েছিলেন হো। সঙ্গে ছিল না কোনও মানচিত্র বা জিপিএস। এমনকি, সমুদ্রপথে দিকনির্ধারক কম্পাসও সঙ্গে নেননি তিনি। একটি স্যুটকেসে কয়েকটি জিনিসপত্র ভরে সুদূর মুম্বাই পাড়ি দিতে চেয়েছিলেন হো।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, হো’র কাছে থেকে উদ্ধার হওয়া স্যুটকেসে তার জামাকাপড় ছিল না। তার বদলে পাওয়া গিয়েছে প্রায় ফাঁকা হয়ে যাওয়া একটি জলের বোতল এবং ১০ প্যাকেট ইনস্ট্যান্ট নুডল্স।
জানা গেছে, সমুদ্রপথে আসার সময় ওই ভেলায় ১৮ রাত কাটিয়েছেন হো। সংবাদমাধ্যমে হো’র এ হেন কীর্তির কথা জানার পর অনেকেই একে সিনেমার গল্পের তকমা দিয়েছেন। তবে এই গল্প সত্যি!
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, বঙ্গোপসাগর এলাকায় ঘূর্ণিঝড় শুরু হওয়ার আগেই সেই সমুদ্রপথ পার করে ভারতে ঢোকার পরিকল্পনা ছিল হো’র। ৫ মার্চ ওই ভেলায় চেপে ভারতের উদ্দেশে রওনা দেন হো। সমুদ্রপথে সেখান থেকে ভারতের দূরত্ব প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার।
থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ বলছেন, হো’র বিষয়ে আমরা ভিয়েতনাম এবং ভারত, দুই দেশের দূতাবাসেই যোগাযোগ করেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনও উত্তর আসেনি।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান
