চাঁদরাতে জমজমাট ঈদের কেনাকাটা
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:৪০ এএম, ৩ মে ২০২২ মঙ্গলবার
ফাইল ছবি
ঈদুল ফিতরের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দিতে চাঁদরাতে রাজধানীর মার্কেটগুলোতে চলছে ধুম বেচাবিক্রি। শপিংমল ছাড়াও পাড়া-মহল্লা, বিভিন্ন মার্কেট এবং ফুটপাতেও ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
সোমবার (২ মে) রাজধানীর প্রগতি সরণির উত্তর বাড্ডার সুবাস্তু নজর ভ্যালি শপিংমল, কনফিডেন্স সেন্টার, হল্যান্ড সুপার মার্কেট এবং এর আশপাশের ফুটপাতগুলোতে প্রচুর ক্রেতা সমাগম দেখা গেছে। ইফতারের পর রাত যতই বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড় ততই বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সৌদি আরবে চাঁদ দেখা না যাওয়ায় বাংলাদেশেও ৩০ রোজার পর ঈদ হবে জেনে ক্রেতা-বিক্রেতারা একটি দিন বেশি পেয়েছেন। তবে শেষ সময়ে শপিংমলগুলোতে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের দোকানগুলোতেই বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
সুবাস্তু নজর ভ্যালির পোশাকঘর, এপি ফ্যাশন, ভিয়েনা ফ্যাশন, ইজি, জেন্টলম্যান, কমপ্লিট ম্যান, আদিবা পাঞ্জাবি হাউস, আল-মদিনা শাড়ি বিতান এরাবিয়ান বোরকা কালেকশন, ইরানি বোরকার দোকান ঘুরে দেখা গেছে শাড়ি এবং বোরখার বিক্রি তেমন নেই। উঠতি বয়সী ছেলেরা জিন্স শার্ট এবং টি-শার্ট কেনার জন্য ভিড় করছেন। আবার জুতার দোকানেও ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
এরাবিয়ান বোরকা কালেকশনের বিক্রতা রেখা আক্তার বলেন, আজ বিক্রি একদমই নেই। আমাদের বিক্রি ঈদের এক সপ্তাহে আগেই শেষ হয়ে যায়। কারণ নতুন বোরখা পরে অনেকেই গ্রামের বাড়িতে যায়।
চাঁদরাতে কি শুধু পোশাক, জুতা, সাজসজ্জার জিনিসেই দোকানেই ভিড়? তা নয়। মুদি দোকানেও তেল, সেমাই, চিনি, দুধ, মসলা ও গরুর মাংস কেনার জন্য ভিড় করছেন ক্রেতারা।
উত্তর বাড্ডার বিসমিল্লাহ মাংসের দোকানে বিকেলেই গরু জবাই হয়েছে। আরও একটি গরু জবাইয়ের জন্য রাখা হয়েছে। মাংসের কেজি সাড়ে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবুও মানুষ ভিড় করছেন।
মুদি দোকানগুলোতে চলছে নৈরাজ্য
সেখানকার মুদি দোকানগুলো ঘুরে দেখে গেছে, খোলা কিংবা বোতলজাত— কোথাও সয়াবিন তেল নেই। এছাড়া তরল দুধেরও সংকট দেখা দিয়েছে। এ জন্য দোকানিরা যারা সেমাই চিনি কিনছেন না তাদের কাছে দুধ বিক্রি করছেন না। আর চিনির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেশি রাখা হচ্ছে। আগে ৮০ টাকায় বিক্রি করা হলেও এখন ৯০ টাকা রাখা হচ্ছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার স্টোরের মালিক জামাল মিয়া বলেন, বাজারে তরল দুধের সরবরাহ কম। আমাদের কিছু নিয়মিত কাস্টমার আছে যারা সেমাই, চিনি কিনেন তাদের তো দুধও দিতে হবে। তাই এ ব্যবস্থা।
