ঢাকা, শনিবার ২৭, এপ্রিল ২০২৪ ২:০১:০২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

দেশে প্রথম জিরার জাত উদ্ভাবন 

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:৩৪ পিএম, ১৩ মে ২০২২ শুক্রবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

দেশে প্রতিবছর হাজার হাজার টন জিরা আমদানি করতে হয়। যার বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণও কয়েক হাজার কোটি টাকা। রসনা বিলাসের জন্য জিরা অদ্বিতীয়। বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বিভিন্ন প্রকার মসলার আবাদ হলেও জিরা আবাদ এতোদিন অধরাই ছিল। তবে সেই স্বপ্ন এখন বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করেছে। দেশেই উদ্ভাবিত হয়েছে বারি জিরা-১ নামে নতুন একটি জাত। উদ্ভাবিত নতুন জাতটি বেশি সুগন্ধিযুক্ত ও স্বাদের।

জানা যায়, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আবদুল ওয়াদুদের নেতৃত্বে গবেষক ড. শ্যামল কুমার ও মো. মাহমুদুল হাসান দীর্ঘদিন গবেষণা করে এ জাত উদ্ভাবন করেছেন।

জিরার উদ্ভাবক বিজ্ঞানী মো. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, মসলা গবেষণা কেন্দ্র, বগুড়ায় ২০০৮ সাল থেকে জিরা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। ২০১৫ সাল পর্যন্ত কখনো জিরা উৎপাদন সম্ভব হয়নি। এক কেজি জিরা বপণ করে বড় জোর ১০০-১৫০ গ্রাম জিরা পাওয়া যেত। আবার কোনো কোনো বছর ফলই পাওয়াই যেত না। মূলত না পাওয়ার বেদনাই আমাকে জিরা নিয়ে গবেষণা করার উৎসাহ জোগায়।

জানা গেছে, জাতীয় বীজ বোর্ড চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি অনিয়ন্ত্রিত জাত হিসেবে বারি জিরা-১ এর নিবন্ধন দেয়। নিবন্ধনে বলা হয়েছে, ভারতীয় জিরার জাত থেকে উদ্ভাবিত এ জাতটি ইনব্রিড। নভেম্বর মাসের প্রথম থেকে তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত বীজ বপণের উপযুক্ত সময়। এই জাতের জিরার জীবনকাল প্রায় ১০০-১১০ দিন। প্রতি হেক্টরে ফলন ৫৫০-৬০০ কেজি পর্যন্ত। চাষের জন্য সুপারিশকৃত অঞ্চল সমগ্র বাংলাদেশ।

বিশেষ করে বৃহত্তর বরেন্দ্র অঞ্চল (রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগা), বিভিন্ন চর অঞ্চল ও উত্তারঞ্চলে বারি জিরা-১ চাষের জন্য অত্যান্ত উপযোগী।