ঢাকা, রবিবার ০৫, মে ২০২৪ ৮:১৮:০০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

শিশু আরাফ হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:১৪ পিএম, ১৮ মে ২০২২ বুধবার

শিশু আবদুর রহমান আরাফ ও তিন আসামি। ছবি: সংগৃহীত

শিশু আবদুর রহমান আরাফ ও তিন আসামি। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে দুই বছরের শিশু আবদুর রহমান আরাফকে হত্যার দায়ে তিন আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক জসিম উদ্দিন বুধবার (১৮ মে) আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আসামিরা হলেন, চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার মিয়াখান নগরের মো. ফরিদ, শিশু আরাফের পরিবার যে বাড়িতে ভাড়া থাকত, সেই ভবনের দারোয়ান মো. হাসান ও হাসানের মা নাজমা বেগম। রায়ের পর তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।

২০২০ সালের ৬ জুন বাকলিয়া ম্যাচ ফ্যাক্টরি রোডে নুরুল আলম মিয়ার বাড়ির ছাদে থাকা ট্যাংক থেকে আবদুর রহমান আরাফের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আরাফ নুরুল আলম মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া আবদুল কাইয়ুমের ছেলে।

ওই ঘটনায় করা মামলায় আসামি করা হয় মিয়াখান নগরের বাসিন্দা মো. ফরিদ, শিশু আরাফের পরিবার যে বাড়িতে ভাড়া থাকত সেই ভবনের দারোয়ান মো. হাসান ও হাসানের মা নাজমা বেগমকে। আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

ঘটনার দিন বিকালে মিয়াখান নগরে ভবনের সামনে গাড়ি রাখার জায়গায় খেলছিল শিশু আরাফ। মায়ের কাছে চানাচুর খাওয়ার পর সে পানি খেতে চেয়েছিল। এ সময় আরাফের মা ফারহানা ইসলাম পানি আনতে ঘরের ভেতরে যান।

তিনি ফিরে এসে দেখেন ছেলে নেই। এ ফাঁকে আদর করার ছলে আরাফকে নিয়ে ভবনের ছাদে চলে যান নাজমা বেগম। সেখানে পানির ট্যাংকে ফেলে আরাফকে হত্যা করা হয়।

হত্যার পর ভবনটির বাসিন্দা নাজমা বেগম, তার ছেলে বাড়ির দারোয়ান হাসান ও তাদের পাশের ভবনের বাসিন্দা ফরিদকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।

একটি বেসরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী আবদুল কাইয়ুম ও গৃহিনী ফারহানা ইসলাম দম্পতির একমাত্র সন্তান ছিল আরাফ। 

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ২০ জনের সাক্ষ্য এবং আসামি পক্ষে ১০ জনের সাফাই সাক্ষ্য হয়েছে।