হঠাৎ কোনো ঘোষণায় স্বাধীনতা আসেনি : তারানা হালিম
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ০৭:০৪ পিএম, ৭ মার্চ ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৮:১৮ এএম, ৮ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার
তথ্য প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট তারানা হালিম বলেছেন, হঠাৎ কোনো ঘোষণায় স্বাধীনতা আসেনি। একজন পাঠককে যারা স্বাধীনতার ঘোষক বানাতে চায়, তাদের প্রতি ঘৃণা লালন করতে হবে। ইতিহাসের পরতে পরতে বঙ্গবন্ধুর অবদান রয়েছে। তাঁর জন্যই আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডে অবস্থিত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) উদ্যোগে ডিএফপি চত্বরে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
তারানা হালিম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের বজ্রকণ্ঠের কালজয়ী ভাষণটি ছিল অলিখিত ও স্বত:স্ফূর্ত। ১৯৭১ সালের এ দিন বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বজ্রকণ্ঠে যে কালজয়ী ভাষণ দিয়েছিলেন তার মধ্যে নিহিত ছিল বাঙালির মুক্তির ডাক।
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে গত ৩০ অক্টোবর ইউনাইটেড নেশনস এডুকেশনাল, সাইন্টিফিক এন্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (ইউনেস্কো) বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। অনুষ্ঠানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডিএফপি’র মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইসতাক হোসেনের কাছে ইউনেস্কোর দেয়া প্রত্যয়নপত্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন।
তারানা হালিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটি গত আড়াই হাজার বছরের মধ্যে সবচেয়ে জোরালো এবং যুদ্ধকালীন অনুপ্রেরণাদায়ী ভাষণগুলোর অন্যতম হিসেবে একটি বইয়ে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ জ্যাকব এফ ফিল্ড বইটির প্রণেতা। বঙ্গবন্ধুর ভাষণসহ এতে উইনস্টন চার্চিল, আব্রাহাম লিংকন, নেপোলিয়ান, মাও সেতুংসহ অনেক বিশ্বে নেতার ঐতিহাসিক ভাষণ অন্তর্ভূক্ত করা হয়।
তারানা হালিম বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের জন্য ৪ হাজার ৭৭৫দিন কারাগারে কাটিয়েছেন, তার প্রতি আমাদের অনেক ঋণ রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমদেরকে সেই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জাকির হোসেন বলেন, জাতি পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল বাংলাদেশের নয়, বিশ্ববাসীর জন্য প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে। তিনি ভাষণটি বর্হিবিশ্বে প্রচারের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
ডিএফপি’র মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইসতাক হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জাকির হোসেন, ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, ডিএফপির সহকারি পরিচালক ডায়ানা ইসলাম সীমা প্রমুখ বক্তৃতা করেন। নবারুন সম্পাদক নাসরীন লিপি অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন।
