ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৮, ডিসেম্বর ২০২৫ ২৩:২০:৪৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

অগামী অর্থ বছরে দেশের অর্থনীতি ৬ দশমিক ৭ শতাংশ বাড়তে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৩৮ পিএম, ৮ জুন ২০২২ বুধবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়তে পারে, আর আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে এর পরিমাণ ৬ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্ব ব্যাংক।

মঙ্গলবার প্রকাশিত বিশ্ব ব্যাংকের সবশেষ ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস’ প্রতিবেদনে এসব তথ্য বলা হয়।

অর্থাৎ, ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস অপরিবর্তিত রেখেছে বিশ্ব ব্যাংক। তবে আগামী অর্থবছরের জন্য তা সামান্য কমিয়ে আনা হয়েছে। গত জানুয়ারির পূর্বাভাসে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল বিশ্ব ব্যাংক।

এবারের প্রতিবেদনে পুরো বিশ্বের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এক ধাক্কায় কমিয়ে আনা হয়েছে প্রায় এক তৃতীয়াংশ। বিশ্ব ব্যাংক এখন বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে বিশ্বের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ২ দশমিক ৯ শতাংশ।

ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায়, দেশে দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকায়, খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ায়, দারিদ্র্যের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় আগামী অর্থবছরেও পরিসিস্থিতির খুব বেশি উন্নতির আশা দেখছে না বিশ্ব ব্যাংক। সেজন্য ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিশ্বের জন্য ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস রাখা হয়েছে তাদের প্রতিবেদনে।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেকর্ড ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিল বাংলাদেশ। মহামারীর ধাক্কায় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে তা নেমে যায় ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশে। সেই ধকল সামলে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়।

সরকার চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। নয় মাসের হিসাব ধরে সরকার এখন বলছে, অর্থবছর শেষে প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ হতে পারে। অবশ্য বিশ্ব ব্যাংকের হিসাবে এই হার হতে পরে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ।

বিশ্ব ব্যাংক তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ইউক্রেইন যুদ্ধ বিশ্ব বাণিজ্যের গতি যেভাবে টেনে ধরেছে, তাতে অর্থনীতিতে একটি ‘দুর্বল প্রবৃদ্ধি আর উচ্চ মূল্যস্ফীতির’ দশা শুরু হয়েছে। ফলে কিছু কিছু দেশ একটি অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়ার ঝুঁকিতে পড়েছে।

এই ঝুঁকি কমিয়ে আনতে খাদ্য ও জ্বালানি উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানিতে রক্ষণশীলতা এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক, কারণ নিজেদের খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বড় উৎপাদক দেশগুলো রপ্তানি বন্ধ রাখলে তাতে বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি আর বাড়বে।