ঢাকা, শনিবার ২৭, ডিসেম্বর ২০২৫ ০:১১:৫৪ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

শিগগিরই কৃষিনীতি ২০১৮ চূড়ান্ত হবে : কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ১২:১০ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৯:৩২ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৮ সোমবার

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে এবং সময়োপযোগী করে তুলতে শিগগিরই জাতীয় কৃষিনীতি ২০১৮ চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে সরকার। ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ (এসডিজি) অর্জনে দেশের খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ করা প্রয়োজন এবং এ কারণেই জাতীয় কৃষিনীতির আধুনিকায়ন করতে হবে।


রোববার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে (বিএআরসি) খসড়া জাতীয় কৃষিনীতি ২০১৮-এর ওপর এক পর্যালোচনা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

 


তিনি বলেন, সপ্তম পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনা এবং জাতীয় কৃষিনীতি অনুযায়ী কৃষি খাতের সার্বিক উন্নয়নে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। অতীতে স্বাধীনতার পর থেকে কোনো সরকার জাতীয় কৃষিনীতি প্রণয়নের উদ্যোগ না নেয়ায় বিভিন্ন সময় কৃষি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বাধাগ্রস্ত হয়। ২০১৩ সালে জাতীয় কৃষিনীতি সংশোধন করা হয়।


মতিয়া চৌধুরী বলেন, কৃষি খাত বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। সরকার খাদ্য নিরাপত্তা এবং বিদ্যমান কৃষি ব্যবস্থাকে বাণিজ্যিক ব্যবস্থায় রূপান্তর নিশ্চিত করতে সংশোধিত কৃষিনীতি ২০১৮ (খসড়া) তৈরি করেছে। 


ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, দেশের ৫০ ভাগ লোক এখনো কৃষিতে জড়িত থাকায় জাতীয় কৃষিনীতি ২০১৮ রিভিউ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


আবদুল মান্নান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানর স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সরকার জাতীয় কৃষিনীতিকে গুরুত্ব দিয়েছে।

 

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মইন উদ্দিন আবদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. আবদুর রাজ্জাক এবং কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল মান্নান।


বিএআরসি নির্বাহী চেয়ারম্যান ইকরামুল হক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং বিএআরসি’র সাবেক প্রধান ড. ওয়াইজ কবির খসড়া জাতীয় কৃষিনীতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।