ঢাকা, শুক্রবার ০৩, মে ২০২৪ ৬:০২:২৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

আনা ফ্রাঙ্ক, জন্মদিনে অনাবিল ভালোবাসা

আঞ্জুমান আরা

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৬:২৩ পিএম, ১২ জুন ২০২২ রবিবার

আনা ফ্রাঙ্ক।  ফাইল ছবি।

আনা ফ্রাঙ্ক। ফাইল ছবি।

আনা ফ্রাঙ্ক আলোচিত ও বিখ্যাত ইহুদি এক কিশোরী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে তার লেখা ডায়েরি এখন পর্যন্ত বিশ্বের অন্যতম সর্বাধিক পঠিত বই। বইটি বিশ্বের ৬০টি ভাষায় অনূদিত। এই ডায়েরির লেখা নিয়ে একাধিক চলচ্চিত্র ও নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে।  

আনা ফ্রাঙ্ক আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি লাভ করেন তার লিখিত ডায়েরির জন্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অন্য একটি পরিবারসহ তার পরিবার আত্মগোপন করে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে এক বাড়িতে। সেখানে বন্দি অবস্থায় থাকার সময়ে আনা তার ডায়েরিতে লেখেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা, আত্মাগোপনের অভিজ্ঞতাসহ তার মনের দ্বিধা ,আশা ও গোপন কথা। আনা তার ডায়েরির নাম দিয়েছিলেন 'কিটি'।

১৯৪২ সালের ১২ জুন এই ডায়রিটি আনার ১৩তম জন্মদিনে উপহার দেয়া হয়েছিলো। সে ডায়রিতে আনা তার জীবনের ১২ জুন ১৯৪২ থেকে ১ আগস্ট ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত সময়ের ঘটনাগুলো যত্ন করে লিখেছেন। 

দুই বছর পর ১৯৪৪ সালের ৪ আগস্ট সকালে তারা জার্মান নিরাপত্তা রক্ষীদের হাতে ধরা পড়েন এবং তাদের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আনা ফ্রাঙ্ক ও তার বোন মার্গোট ফ্রাঙ্ককে বার্গেন-বেলজান কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে ১৯৪৫ সালে তাদের হত্যা করা হয়। আনার বাবা ছাড়া পরিবারের কেউ জীবিত ছিল না।

যুদ্ধ শেষে তার পরিবারের একমাত্র বেঁচে থাকা ব্যক্তি বাবা অটো ফ্রাঙ্ক আমস্টারডামে ফিরে আসেন। সেই বাড়িটিতে তিনি আনার ডায়েরি খুঁজে পান। তার প্রচেষ্টাতেই দিনলিপিটি ১৯৪৭ সালে প্রকাশিত হয়। এটি মূল ওলন্দাজ ভাষা থেকে পরবর্তীকালে ১৯৫২ সালে প্রথমবারের মতো ইংরেজিতে অনূদিত হয় এবং বই আকারে প্রকাশিত হয়। বইটির ইংরেজি নাম দেয়া হয় ‘দ্য ডায়েরি অফ আ ইয়াং গার্ল’। এ বই বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং ৩০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে। 

আজ ১২ জুন আনা ফ্রাঙ্ক'র ৯৩তম জন্মদিন। জন্মদিনে তাকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।