একাত্তরে নারী রাজাকার ছিলো না : তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ০৮:১০ পিএম, ১৩ মার্চ ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৬:২৮ পিএম, ১৭ মার্চ ২০১৮ শনিবার
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বললেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশে পুরুষ রাজাকার থাকলেও নারী রাজাকার ছিল না। বর্তমানে জঙ্গিবাদ-মৌলবাদ ও পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করে এগিয়ে যেতে হবে নারী সাংবাদিকদের।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের ষোড়শ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সহ-সভাপতি দিল মনোয়ারা মনু, সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা ও কোষাধ্যক্ষ আখতার জাহান মালিক।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ১৯৭১ সালে রাজাকাররা (পাকিস্তানী বাহিনীর এদেশীও সহযোগী) সবাই পুরুষ ছিল। একজনও নারী ছিলো না।
তিনি সুনির্দিষ্টভাবে ধর্মান্ধ, জঙ্গী, যুদ্ধাপরাধী এবং কুসংস্কারের কথা উল্লেখ করে বলেন, বর্তমানে জঙ্গিবাদ-মৌলবাদ ও পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করে এগিয়ে যেতে হবে নারী সাংবাদিকদের।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীরা প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নারীদের অবশ্যই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীদের গৌরবময় ভূমিকার কথা উল্লেখ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, তাদের তিনটি যুদ্ধ করতে হয়েছে, প্রথমত দেশকে মুক্ত করা, দ্বিতীয়ত নিজেদের জীবন রক্ষা করা এবং তৃতীয়ত তাদের সম্মান রক্ষা করা।
তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সংগ্রাম অব্যহত রাখতে হবে এবং নারীদের অবশ্যই মেধা দিয়ে তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে হবে, বাহ্যিক সৌন্দর্য দিয়ে নয়।
তিনি নারীকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোর সমালোচনা করে বলেন, পণ্যের প্রচারের জন্য নারীদের বেশি উপস্থাপন করা হচ্ছে। এটি একটি অনুজ্জল বিষয়।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রেসিডেণ্ট শফিকুর রহমান বলেন, প্রায় ২৯ বছর পর যখন আমরা ২০১৫ সালে প্রেসক্লাবের ক্ষমতা পেলাম তখন মাত্র ২০ জন নারী সাংবাদিক জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য ছিলো। আমরা এসে ৫৫ জন নারী সাংবাদিককে প্রেসক্লাবের সদস্য করেছি। আমরা আরও নারী সাংবাদিককে সদস্যপদ দিতে যাচ্ছি।
