ঢাকা, সোমবার ০৬, মে ২০২৪ ৩:৩৬:২০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

প্রতি বছর দেশে ১৫ হাজার নারী স্তন ক্যান্সারে সংক্রমিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:০৭ পিএম, ২ জুলাই ২০২২ শনিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

দেশের চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশে যে ১৫ হাজারের অধিক নারী স্তন ক্যান্সারে সংক্রমিত হচ্ছেন তাদের মধ্যে স্কুল কলেজের ছাত্রীরা ও রয়েছেন। রয়েছেন স্কুল ঝরেপড়া শিশুরাও। চিকিৎসকরা তাই মনে করছেন  স্তন ক্যান্সার সচেততনতা ও প্রতিরোধ শুরু হোক পরিবার থেকেই। প্রয়োজনে পাঠ্যপস্তুকে বিষয়টি যুক্ত করতে হবে বলেও মনে করছেন ক্যানসার চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা।
শনিবার (২ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরাম আয়োজিত ‘স্তন ক্যানসার সচেতনতায় চাই সামাজিক আন্দোলন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। 
 ফোরামের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১৩ সালে স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরাম গঠন ও এর উদ্যোগে প্রতিবছর ১০ অক্টোবর বাংলাদেশে স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস পালিত হয়ে আসছে। গোলাপি সড়ক শোভাযাত্রা, সচেতনতা ও ফ্রি স্ক্রিনিংসহ নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ দিবস পালন করা হয়।
এ বছর এই দিবস উদযাপিত হবে দশমবারের মতো। একযোগে ৬৪ জেলায় ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের সম্পৃক্ত করে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে বলেও ফোরামের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়কারী জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ ও জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. স্বপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।
হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন বলেন, গত বছর ঢাকায় সাড়ে পাঁচশ নারীর স্ক্রিনিং হয়েছে। ঢাকার বাইরে অন্তত ৩০টি জেলায় সচেতনতা কার্যক্রম চালানো হয়েছে। এবার ৬৪টি জেলায় করার ইচ্ছা। সরকারি হিসেবে স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস ঘোষণা করতে হবে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনে জাতীয় কমিটি গঠন করা হবে। ক্যানসার চিকিৎসায় সারাদেশের আরও আটটি মেডিকেল কলেজে ব্যবস্থা হয়েছে। প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ চলছে।
 এ রোগের বেশির ভাগ রোগীই প্রান্তিকের। সচেতনতার অভাবে শেষ সময়ে গিয়ে চিকিৎসা নেন। একই সঙ্গে পাঠ্যক্রমে এটির সচেতনতায় যুক্ত করতে হবে। তাহলে শুরুতেই সচেতন হলে প্রতিরোধ করতে পারবে। অনুষ্ঠানে সোসাইটি ফর হেলথ প্রমোশন লিংকসের সভাপতি ডা. হালিদা হানুম আক্তার বলেন, নারীর কোনো একটি অঙ্গ তার মৃত্যুর কারণ হতে পারে। স্তন ক্যানসার এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা। তাই এটি নিয়ে সচেতন ও প্রতিরোধ পরিবার থেকে শুরু করতে হবে। প্রটেক্টিভ হেলথের ব্যাপারে আমাদের জোর দিতে হবে। এজন্য প্রান্তিক পর্যায়ে সচেতন করতে হবে। গণমাধ্যম এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।