ঢাকা, বৃহস্পতিবার ০২, মে ২০২৪ ১২:০৯:০৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

হাটে বড় গরুর দর্শক বেশি, ক্রেতা কম

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:১৩ পিএম, ৫ জুলাই ২০২২ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ঈদের বাকি আর পাঁচদিন। তবে এখনও জমে উঠেনি গরুর হাট। গত ১ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজধানীতে গরুর হাট শুরু হলেও নেই প্রত্যাশিত বেচা-কেনা, দূরদূরান্ত থেকে এ হাটে গরু নিয়ে আসা ব্যবসায়ীরাও তাই হতাশ।

বিক্রেতারা বলছেন, বড় আকৃতির গরুর স্টলগুলোতে কিছু মানুষের ভিড় থাকলেও অধিকাংশই দর্শনার্থী। হাটে বড় গরুর দর্শকই বেশি, ক্রেতা নেই বললেই চলে।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল সাড়ে দশটায় রাজধানীর আফতাবনগর পশুর হাট সরেজমিনে ঘুরে এমন তথ্য জানা গেছে।

গাইবান্ধা থেকে বিশাল আকৃতির ‘বিশাল’ নামের এক গরু নিয়ে এসেছেন বিনয় কুমার বাবু। এক হাজার ৫০০ কেজি ওজনের এ গরুর দাম তিনি চাচ্ছেন ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত। তিনি বলেন, হাটে লোকজন খুবই কম আসছেন। যে কারণে ক্রেতার সংখ্যাও কম। ফলে বিশাল আকৃতির এই গরুটার দাম বলছে ৮ থেকে ১০ লাখ পর্যন্ত। তবে, ১৫ লাখের নিচে আমি বিক্রি করব না।


তিনি আরও বলেন, গরুটি আমি ঘরোয়াভাবে লালন পালন করেছি। কোন ধরনের ওষুধ আমি দেইনি। গরুকে খাইয়েছি ভুট্টার গুড়া, গমের ভুসি, খুদের ভাত আর কাঁচা ঘাস। চার বছর যাবৎ একে আমি লালন পালন করেছি। গতবছরও বাজারে নিয়ে এসেছিলাম, কিন্তু চাহিদামতো দাম না পাওয়ায় বিক্রি করিনি।

নেত্রকোনা থেকে ‘নেত্রকোনার কালোরাজ’ নামের আরেক বড় গরু নিয়ে এসেছেন সোহেল বাদশা। গরুটির ওজন আনুমানিক ১৪০০ থেকে সাড়ে ১৪০০ কেজি। গরুটির দাম চাচ্ছেন তিনি ১৫ লাখ টাকা। 


বাজার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গতকাল রাতে গরুটি এনেছি, আজকে সকাল পর্যন্ত কোন কাস্টমার আসেনি। বড় গরুগুলো মূলত মানুষ দেখতেই আসে। তবে ঈদের তো আরও বেশ কিছুদিন সময় আছে। আমার মনে হয় আরও এক-দুইদিন পর বাজার ভালোভাবেই জমে উঠবে।

গরুটির দাম প্রসঙ্গে এ বিক্রেতা বলেন, আলাপ-আলোচনা করে যা হোক গরুটি ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছে আছে। সাড়ে তিন বছর যাবৎ গরুটি আমি লালন পালন করছি। গরুকে শুধুমাত্র কাঁচা ঘাস, গমের ভুসি আর খড়ই খাইয়েছি।


হাটে গরু দেখতে আসা আজমল হোসেন নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, গরু মূলত তিনি ঈদের এক-দুই দিন আগেই কিনবেন। তবে এখন বাজার পর্যবেক্ষণে এসেছেন। 

গরুর দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুরুর দিকে দামটা একটু বেশি চাইবে এটাই স্বাভাবিক। যখন বাজারে ক্রেতা বেশি আসবে পাশাপাশি গরুর সংখ্যা বাড়বে তখন দাম নাগালের মধ্যে চলে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা করছি।

এ ব্যাংক কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা যারা ঢাকায় থাকি তারা প্রতি ঈদেই সাধারণত শেষের দিকেই গরু কিনি। বলা যায় যে এটাই আমাদের ট্রেডিশন। এত আগেভাগে কিনে গরুকে লালন-পালন করা, খাওয়ানো খুবই কঠিন।

হাট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখনও পর্যাপ্ত গরু হাটে আসেনি। বেচাকেনা শুরু হলেও সেটি প্রত্যাশিত নয়। 

হাটের প্রচার বিভাগে দায়িত্বরত মো. উজ্জল মিয়া বলেন, আমরা আশা করছি আজ থেকেই হাটে বেচাকেনা পুরোদমে শুরু হবে। গত বছরের মতো যদি আমাদের এ বছর বিক্রি হয়, তাহলে আমাদের খরচটা উঠে যাবে। আর না হলে আমাদেরকে লোকসানের মধ্যে থাকতে হবে। আমরা আশা করছি এবারের হাটে ২০ থেকে ২৫ হাজার গরু বিক্রি হবে।