শুক্রবার ঢাকা ছেড়েছে ৩৫ লাখ মানুষ
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৮:২৯ পিএম, ৯ জুলাই ২০২২ শনিবার
ফাইল ছবি
ঈদুল আজহা উপলক্ষে শুক্রবার (৮ জুলাই) ৩৫ লাখ ৩০ হাজার ৭৩২টি সিমের ব্যবহারকারী ঢাকার বাইরে গেছেন বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। শনিবার (৯ জুলাই) দুপুরে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ তথ্য জানান।
তবে এই হিসাব গড়ে জনপ্রতি সিমের সংখ্যায় ধরা হয়েছে। ১৮ বছরের নিচে কেউ এই হিসেবের মধ্যে পড়ে না।
মন্ত্রী চারটি অপারেটর গ্রামীণ ফোন লিমিটেড, রবি অ্যাজিয়াটা লিমিটেড, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের সিমের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা পরিসংখ্যানটি পোস্ট করেন।
এতে দেখা যায়, রবির মোট ৯ লাখ ৭৫ হাজার, গ্রামীণফোনের ১৫ লাখ ৮৩ হাজার, বাংলালিংকের সাড়ে ৮ লাখ ও টেলিটকের ১ লাখ ২২ হাজার সিমের ব্যবহারকারী ঢাকা ছাড়েন।
তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, মোবাইল ব্যবহারকারীর চেয়ে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা বেশি হবে। কারণ অধিকাংশই পরিবার নিয়ে ঢাকা ছেড়েছেন। একটি পরিবারের সবাই মোবাইল ব্যবহার করে না বিশেষ করে অল্প বয়সীরা। পাশাপাশি অনেকে সপ্তাহখানেক আগেই পরিবার বাড়ি পাঠিয়েছেন। আবার অনেকেই আছেন একাধিক সিম ব্যবহার করেন।
ADVERTISEMENT
গত ঈদুল ফিতরের সময় ৮৬ লাখের বেশি মোবাইল গ্রাহক ঢাকা ছেড়ে যায়।
এআর/এসকেডি
ঈদুল আজহার ১৯৫তম জামাতের জন্য প্রস্তুত কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। ঈদ জামাতকে সুষ্ঠু ও নিরাপদ করতে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভা ইতোমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
রোববার (১০ জুলাই) সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়ায় জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
করোনার প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাঠে প্রবেশ করতে হবে মুসুল্লিদের। জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে প্রবেশেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। দূর-দূরান্ত থেকে আসা মুসুল্লিদের যাতায়াতের স্বার্থে থাকছে ঈদ স্পেশাল নামে দুটি ট্রেন। যা চলবে ভৈরব-ময়মনসিংহ রোডে। বড় ঈদগাহ, বড় জামাত, বেশি মুসুল্লির সঙ্গে নামাজ আদায় করলে দোয়া কবুল হয়-এমন আকর্ষণে ছুটে আসেন ধর্মপ্রাণ মুসলমান। প্রায় ৬ একর জমির ওপর শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের অবস্থান। ১৩৫০ সালে মাঠটি ওয়াকফ করা হলেও ঈদ জামাতের হিসেব ধরা হয় ১৮৫০ সাল থেকে।
পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, ঈদুল ফিতরের তুলনায় ঈদুল আজহায় মুুসুল্লির সংখ্যা কম হলেও নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ, র্যাব, বিজিবির পাশাপাশি সাদা পোশাকে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তার স্বার্থে মাঠে আর্চওয়ে, ওয়াচ টাওয়ার, ড্রোন ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরা, বাইনোকোলার, সিসি ক্যামেরাসহ সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুত সম্পন্ন হয়েছে। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাঠে প্রবেশ করতে হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে মোবাইল নিয়ে প্রবেশেও থাকছে নিষেধাজ্ঞা।