ক্রেতাশূন্য রাজধানীর বাজার
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:২৭ পিএম, ১২ জুলাই ২০২২ মঙ্গলবার
ফাইল ছবি
পবিত্র ঈদুল আজহার আজ তৃতীয় দিন। ইতোমধ্যে গতকাল (১১ জুলাই) সরকারি ছুটি শেষ হয়েছে। ছুটি শেষে আজ থেকে অফিস-আদালত খুললেও রাজধানী ঢাকা এখনো ফিরে পায়নি তার চিরচেনা রূপ।
সড়কের মতোই ফাঁকা রাজধানীর প্রায় সব বাজার। মাছ কিংবা সবজি, প্রায় সব বাজারই ক্রেতাশূন্য। তবে, ক্রেতার শূন্যতা তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি নিত্যপণ্যের দামে।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) রামপুরা, মধুবাগ ও মালিবাগ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিক্রেতারা বিভিন্ন মাছের পসরা সাজিয়ে বসলেও ক্রেতা খুবই কম। অনেক মাছের দাম স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম মনে হলেও বড় ধরনের পার্থক্য দেখা যায়নি। বরং কিছু কিছু মাছের দাম বেড়েছে।
বাজারে মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৯০০ টাকায়। আর এক কেজির বেশি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০-১৫০০ টাকায়। এছাড়া, কাচকি গুড়া ৫৫০-৬০০ টাকা, দেশি জাতের মাঝারি আকারের চিংড়ি ৮০০-১২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। রুই প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৫০ টাকায়, বাইলা ৬০০-৮০০ টাকা ও এক কেজি রূপচাঁদার দাম ৬০০-৮০০ টাকা।
বাজারে ক্রেতা নেই, তারপরও দাম বেশির কারণ জানতে চাইলে মাছ বিক্রেতা ছাইদুল বলেন, ক্রেতার সঙ্গে সঙ্গে মাছের সরবরাহও কম। কোরবানির সিজন হলেও ছোট এবং দেশি মাছের চাহিদা রয়েছে। আবার অনেক মাছে ব্যবসায়ীও বাজারে আসেননি। কয়েক দিন পর থেকে মাছের চাহিদা আবার বাড়বে।
ক্রেতা সংকটের চিত্র দেখা গেছে সবজির বাজারেও। শসা, গাজর, টমেটো ও কাঁচামরিচ ছাড়া অন্যান্য সবজি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। বাজারে শসা, গাজর, টমেটো ও কাঁচামরিচের কেজি ১০০ টাকারও বেশি।
অন্যান্য সবজির মধ্যে বেগুন ৫০-৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, পটল, ধুন্দল, ঝিঙা কাঁকরোল, চিচিঙ্গা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ৬০-৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া, মিষ্টি কুমড়ার পিস ২০-৩০ টাকা, লাউ ৬০-৮০ টাকা, কাঁচা কলা হালি প্রতি ৩০-৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা হাসেম মিয়া বলেন, বাজারে সরবরাহ যেমন কম, ক্রেতাও কম। আবার দামও খুব বেশি কমেনি। অনেক সবজির দাম বেড়েছে। তবে অধিকাংশ সবজিই আগের দামে বিক্রি হচ্ছে।
