ঢাকা, রবিবার ০৫, মে ২০২৪ ১৮:৫৯:০৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৪৫ পিএম, ৫ আগস্ট ২০২২ শুক্রবার

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

প্রতি দিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। কোনো লাগামনেই। নিয়ন্ত্রণ করারও কেউ নেই যেন। যে যেমন ইচ্ছে দাম হাঁকছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা এবং পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর কাঁচা মরিচের কেজি দাম বেড়ে হয়েছে ২৫০ টাকা।

মালিবাগ বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করছেন কেজি প্রতি ১৬০-১৬৫ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০-১৫৫ টাকা। আর প্রতি কেজি পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৬০-২৮০ টাকা। এছাড়া ডিম ১৩০ টাকা ডজন।

রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছের কেজি ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, শিং মাছ ৩০০ থেকে ৪৬০ টাকা, শোল মাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, কৈ মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা আর পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। 

দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ইলিশেরও। এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি। আর ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা। 

দাম বৃদ্ধির বিষয়ে কয়েক ব্যবসায়ী জানান, বাজারে সবকিছুর দাম বাড়তি। এছাড়া কোরবানির ঈদের মাংস ফুরিয়ে আসায় ফলে বাজারে বেড়েছে মুরগির চাহিদা। অপরদিকে, বৃষ্টিতে কাঁচা মরিচের খেতের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে বাজারে সরবরাহ কমেছে মরিচের। যার প্রভাব দামে দেখা যাচ্ছে। তবে মরিচের এমন দাম খুব বেশি দিন থাকবে না।

এদিকে সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গাজর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০-১৪০ টাকা। গাজরের দাম কিছুটা কমলেও পাকা টমেটো গত সপ্তাহের মতো কেজিপ্রতি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা, কাঁকরোল ৫০-৭০ টাকা কেজি, কাঁচা পেঁপে কেজি ২০-২৫ টাকা, আর পটল ২০-৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ক্রেতারা বলছেন, রুশ-ইউক্রেন তো আর আমাদের প্রতিবেশী নয়। এ যুদ্ধের প্রভাব কেন আমাদের দেশেই বেশি পরলো! বিষয়টি চরম হাস্যকর এবং নীতির বাইরে।