ঢাকা, সোমবার ২২, ডিসেম্বর ২০২৫ ৭:০১:৪০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

রানা প্লাজার মালিকের মায়ের ৬ বছরের জেল

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ১০:৪৮ পিএম, ২৯ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১২:২২ পিএম, ২ এপ্রিল ২০১৮ সোমবার

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলায় সাভারের রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার মা মরজিনা বেগমের ছয় বছরের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। তার জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

একই সঙ্গে রায়ে আসামিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং সাভার বাজার রোডের পাঁচতলা আবাসিক বি-৬৯/১ নম্বর বাড়ির এক তৃতীয়াংশ বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশও দিয়েছেন আদালত। 


আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় জামিনে থাকা আসামি মরজিনা বেগম আদালতে হাজির ছিলেন। আদালত রায় ঘোষণার পর তার জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করেন।


ঘোষিত ছয় বছর সাজার মধ্যে ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন আইনের একটি ধারায় জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের জন্য তিন বছর এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে আরও তিন বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।


মামলার অভিযোগে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সম্পদের হিসাব তলব করলে ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর মর্জিনা ইসলাম সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। যেখানে তিনি ৪ কোটি ৮২ লাখ ৬৩ হাজার ৭৬৮ টাকার স্থাবর এবং ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ ছিল। উক্ত সম্পদের মধ্যে সাভার বাজার রোডের একটি খতিয়ানের চার শতক জমির উপর পাঁচতলা বাড়ির এক তৃতীয়াংশ, আরেকটি খতিয়ানের বিভিন্ন দাগের ৪১ শতক জমির ৪০ শতাংশ, সাভার বাজার রোডস্থ ৫তলা আবাসিক বি-৬৯/১ নং বাড়ির এক তৃতীয়াংশ, রানা প্লাজা ভবনের নির্মানের ৪০ শতাংশ দেখানো হয়।


দুদক তদন্তে একটি বাড়ির তার অংশে নির্মাণ ব্যায়ের ৪২ লাখ ২০ হাজার ৪৪৮ টাকা এবং রানা প্লাজা ভবন নির্মাণে তার অংশ ৬ কোটি ২৫ লাখ ৪৬ হাজার ৪৪২ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের তথ্য পায়। ওই অভিযোগে রমনা থানায় ২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে দুদক মামলাটিতে চার্জশিট দাখিল করার পর রায় ঘোষণাকারী আদালতে বিচারের জন্য আসে।


২০১৭ সালের ২৯ আগস্ট দুদক তলব করার পরও সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় একই আদালত রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।


রানা প্লাজার ভবন ধ্বসের পর সোহেল রানার বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি মামলা দায়ের হয়। যার মধ্যে একটি মামলার রায় ঘোষণা করেছে আদালত। অপর চারটি মামলার মধ্যে রয়েছে, ভবন ধ্বসের ঘটনার হত্যা মামলা, ভবন নির্মাণে দুর্নীতির মামলা, অস্ত্র মামলা ও ভবন নির্মাণে দুর্নীতির মামলা। ওই মামলাগুলো বর্তমানে সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে বিচারাধীন।