ঢাকা, রবিবার ০৫, মে ২০২৪ ১৮:২৫:০৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

কর্মক্ষেত্রে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়াতে উপযোগী পরিবেশ তৈরির আহ্বান

বাসস

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৩৯ এএম, ৭ আগস্ট ২০২২ রবিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শিশুকে সফলভাবে মায়ের দুধ খাওয়াতে পারিবারিক সহায়তার পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি কর্মক্ষেত্রে উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে শনিবার এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২২’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ বছরের বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘মাতৃদুগ্ধ পান এগিয়ে নিতে, শিক্ষা ও সহযোগিতা হবে বাড়াতে’ অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, মায়ের দুধ শিশুর সর্বোত্তম খাবার। মায়ের দুধ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মা ও শিশুর মধ্যে দৃঢ় বন্ধন সৃষ্টি করতে সহায়তা করে। নবজাতকের যথাযথ বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে তাকে জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে মায়ের শাল দুধ দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। ছয় মাস পর্যন্ত শিশুকে শুধু মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। বর্তমানে দেশে শিশুকে ৬ মাস পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানোর হার শতকরা ৬৫ ভাগ এবং ২০২৫ সালের মধ্যে এই হার ৭০ ভাগে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিয়মিত প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি মায়েদের উদ্বুদ্ধকরণেও উদ্যোগী হতে হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, শিশুর সুষ্ঠু শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে মায়ের দুধের বিকল্প নেই। বাজারে প্রচলিত বিকল্প শিশুখাদ্য শিশুদের প্রদানের ক্ষেত্রেও যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। মাতৃদুগ্ধের বিকল্প খাদ্যের প্রচারণা নিয়ন্ত্রণে সরকার ‘মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, শিশুখাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও তা ব্যবহারের সরঞ্জামাদি (বিপণন নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩’ ও এ সংক্রান্ত বিধিমালা ২০১৭ প্রণয়ন করেছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন পেশায় নারীর অংশগ্রহণ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। সরকার শিশুকে সফলভাবে মায়ের দুধ খাওয়ানোর নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য ছয় মাস বেতনসহ মাতৃত্বকালীন ছুটির বিধান করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এ বিধান প্রতিপালনে আরও যত্নশীল হবে। দেশে মাতৃদুগ্ধ প্রদানের হার বাড়াতে পরিবারের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রেও নারীকে মাতৃদুগ্ধ দানে সহায়তা প্রদান অত্যন্ত জরুরি।