ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:১৬:১০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

তিন পার্বত্য জেলায় নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন সড়ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৪৬ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০২২ রবিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দেশের সীমান্ত সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও তিন পার্বত্য জেলার দুর্গম বর্ডারের সঙ্গে আন্তঃসংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মিত হচ্ছে সীমান্ত সড়ক।

সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, প্রথম পর্যায়ে তিন পার্বত্য জেলায় নির্মিত হচ্ছে ৩১৭ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক। এর মধ্যে বান্দরবানের থানচি উপজেলার দুর্গম সীমান্ত এলাকায় নির্মিত হচ্ছে ৯২ কিলোমিটার সড়ক। ইতোমধ্যে সড়কটির ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সড়কটি চালু হলে সীমান্তের নিরাপত্তা বাড়বে। পাশাপাশি দুর্গম এলাকায় বসবাসকারীদের জীবনমান উন্নত হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তিন পার্বত্য জেলার সীমান্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় বান্দরবানের থানচি উপজেলার দুর্গম সীমান্তবর্তী এলাকা রেমাক্রী, লিক্রি ও বাকলাই এলাকায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মিত হচ্ছে সীমান্ত সড়ক ও তিন পার্বত্য জেলার আন্তঃসংযোগ সড়ক। প্রথম পর্যায়ে বান্দরবানের রুমা, থানচি ও আলীকদম উপজেলার দুর্গম সীমান্ত এলাকায় নির্মিত হচ্ছে ৯২ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক।

এই সীমান্ত সড়কটির মাধ্যমে স্থাপিত হবে জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ তিন পার্বত্য জেলার সঙ্গে আন্তঃসংযোগ সড়ক। এছাড়া সড়কটি নির্মিত হলে জোরদার হবে সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শুধু তাই নয়, সড়কটির মাধ্যমে সহজ হবে দুর্গম এলাকায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ। সেই সঙ্গে বদলে যাবে এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক জীবনমান। 

সীমান্ত সড়ক প্রকল্পটি ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ বিগ্রেড ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে তিন পার্বত্য জেলায় শুরু হয়। সীমান্ত সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করেন সেনাবাহিনীর ১৬, ২০ ও ২৬ ইসিবির ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ান।

সেনাবাহিনীর ইসিবির কর্মকর্তা মেজর মো. মোস্তফা জানান, প্রথম পর্যায়ে তিন পার্বত্য জেলায় ৩১৭ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে বান্দরবান জেলায় নির্মিত হচ্ছে ৯২ কিলোমিটার। এর কাজ সীমান্ত বরাবর চলমান রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রজেক্টের মাধ্যমে বিভিন্ন উপজেলায় লিংকরোডের কাজ চলমান রয়েছে। আমাদের প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। আগামী ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্প কাজ শেষ হয়ে যাবে।