গুলশান থানা থেকে পালিয়ে গেছেন নারী আসামি
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:২১ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০২২ রবিবার
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান থানা থেকে মোসা. খাদিজা আক্তার নামের চুরির মামলার এক আসামি পালিয়ে গেছেন।
শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে হাজতখানার টয়লেটের ভাঙ্গা ভেল্টিলেটর দিয়ে তিনি পালিয়ে যান বলে থানা সূত্রে জানা গেছে। গুলশানের একটি বাসা থেকে গৃহপরিচারিকার বেশ ধরে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়েছিলেন খাদিজা। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় শুক্রবার গভীর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থানা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পায়নি পুলিশ।
নাম প্রকাশ না করে গুলশান থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘থানা থেকে এক আসামি পালিয়েছে। তাকে খোঁজা হচ্ছে।’ তবে চুরির ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার এসআই মো. রবিউল আসামি পালানোর বিষয়টি সত্য নয় বলে জানান।
গত ২৩ আগস্ট গুলশান থানায় আলমগীর হোসেন নামের একজন বাদী হয়ে দুজনের বিরুদ্ধে চুরির মামলা করেন। মামলার এক নম্বর আসামি খাদিজা আক্তার ও দুই নম্বর আসামি ‘আশা মেইড এজেন্সি লিমিটেড’ এর ম্যানেজার লোকমান হোসেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী গুলশান-২ এর ৬৮ নম্বর রোডের ৬ নম্বর বাসার ম্যানেজার আলমগীর হোসেন। ওই বাসার মালিক হুমায়ন কবির সুজন ‘আশা মেইড এজেন্সি লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গত ১২ আগস্ট পরিচারিকা হিসেবে খাদিজা আক্তারকে আনেন। গত ১৬ আগস্ট হুমায়ন কবির তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বাসার বাইরে গেলে বিকেল ৩টার দিকে খাদিজা আক্তার আলমারি খুলে স্বর্ণের একটি চেইন, চারটি আংটি, ছয়টি নাকফুল ও নগদ ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা চুরি করেন। হুমায়ন কবির বাসায় ফেরার পর খাদিজা জানান তিনি অসুস্থ বোধ করছেন। বিষয়টি আশা মেইড এজেন্সি লিমিটেডের ম্যনেজার লোকমান হোসেনকে জানালে পরদিন ১৭ আগস্ট সকালে তিনি একজনকে পাঠিয়ে খাদিজাকে বাসা থেকে নিয়ে যান এবং বলেন অন্য একজন পরিচারিকা দেবেন। ওইদিন সন্ধ্যায় হুমায়ন কবিরের স্ত্রী আলমারি খুলে দেখেন স্বর্ণালংকার ও টাকা নেই। পরে বাসার সিসিটিভি ফুটেজ ঘেঁটে দেখেন ১৬ আগস্ট বেলা ৩টা ১২ মিনিট থেকে ৩টা ১৪ মিনিটের দিকে খাদিজা আলমারি খুলে চুরি করেছে। বিষয়টি প্রথমে ‘আশা মেইড এজেন্সি লিমিটেড’ ম্যানেজরা লোকমান হোসেনকে জানালে তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। পরে লোকমান আর কোনো সহায়তা করেনি।
মামলার বাদী আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমি নিজে পুলিশের সঙ্গে থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গত শুক্রবার রাত ২টার দিকে খাদিজাকে গ্রেপ্তারে সহযোগিতা করেছি। তার কাছ থেকে চুরি হওয়া চেইন উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যান্য স্বার্ণালংকার ও টাকা খাদিজার মা ও চাচির কাছে রয়েছে বলে জানিয়েছে। শনিবার দিনভর থানাতেই ছিলো খাদিজা। রাত সাড়ে ৮টার দিকে সে পালিয়ে গেছে।
