ঢাকা, মঙ্গলবার ১৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:৫৬:৩৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

দুই প্রিয় বন্ধু এবার পরস্পরের প্রতিপক্ষ

খেলাধুলা ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৩১ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার

মালদ্বীপের গোল রক্ষক আয়মিথ লিজা ও বাংলাদেশের স্ট্রাইকার সাবিনা খাতুন।  ছবি: সংগৃহিত।

মালদ্বীপের গোল রক্ষক আয়মিথ লিজা ও বাংলাদেশের স্ট্রাইকার সাবিনা খাতুন। ছবি: সংগৃহিত।

২০১৪ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশীপেই বাংলাদেশ দলের অন্যতম স্ট্রাইকার সাবিনা খাতুনকে প্রথম দেখেছিলেন মালদ্বীপের গোল রক্ষক আয়মিথ লিজা। তখনই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন সাবিনার মধ্যে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত প্রতিভা। সময় যত গড়িয়েছে প্রতিপক্ষ দুই ভিনদেশী নারী ফুটবলারের মধ্যে গড়ে উঠেছে সখ্যতা। তাদের সেই সখ্যতা আরো সংহত হয়েছে যখন মালদ্বীপের ঘরোয়া ফুটবলে পুলিশ দলের হয়ে খেলতে গিয়েছিলেন সাবিনা।

বর্তমানে সাবিনা যেমন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক, তেমনি আসন্ন ষষ্ঠ সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশীপে বাংলাদেশ দলের প্রথম প্রতিপক্ষ মালদ্বীপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন লিজা। এ যেন মুধর এক প্রতিদ্বন্দ্বিতা। দুই বন্ধু হয়ে গেছেন পরস্পরের প্রতিপক্ষ। কালই তারা নামতে যাচ্ছে পরস্পরের মোকাবেলায়। 

এই প্রতিবেদক বিষয়টি সামনে আনতেই একগাল হাসি দিয়ে মালদ্বীপের অধিনায়ক আয়মিথ লিজা বলেন, ‘আমরা এক সময় সতীর্থ ছিলাম। মালদ্বীপের পুলিশ দলে এক সঙ্গে খেলতাম। ও (সাবিনা) আমার টিমমেট ছিল। আসলে সাবিনা একজন দুর্দান্ত ফরোয়ার্ড। যে কোন সময় তার গতিতে পরাস্ত হতে পারে প্রতিপক্ষের গোলকিপার।’

মালদ্বীপের ঘরোয়া ফুটবলে পরিচিত নাম সাবিনা খাতুন। চারবার তিনি খেলেছেন দ্বীপ দেশটির লিগে। ২০১৫ সালে পুলিশ, ১৬ সালে দুবার সেনাবাহিনীতে এবং ২০২১ সালে খেলেছেন একই দলের হয়ে। গোল করে দলকে জয়ও এন দিয়েছেন সাবিনা। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৪১ ম্যাচে করেছেন ২৩ গোল। সাফ ও ফিফা প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশের এই সেরা ফরোয়ার্ডের কাছে তিন বারের দেখায় সবক’টিতেই হেরেছে মালদ্বীপ। সাফেই দুবারের দেখায় সাবিনা গোল করেছিলেন চারটি।

তাই মালদ্বীপ লিগে পুলিশের হয়ে খেলা লিজার দৃষ্টিতে মাঠে সাবিনা খুবই ভয়ংকর। 

তিনি বলেন,‘আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে (সাবিনা) জানি। এক সময় পুলিশ দলে আমরা সতীর্থ ছিলাম।  সে খুব ভয়ংকর ফরোয়ার্ড। সাবিনার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত একটি বন্ধুত্ব রয়েছে। সে একজন ভালো খেলোয়াড়। মাঠে তার খেলা অন্য খেলোয়াড়দের জন্য উদাহারণ হতে পারে। ২০১৪ সালে পাাকিস্তান সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে তাকে প্রথম দেখেছি। তখনই বুঝতে  পেরেছিলাম যে তার মধ্যে দারুণ মেধা আছে। এবার আমাদের পরস্পরের মোকাবেলা করতে হবে। আমার চেষ্টা থাকবে তাকে প্রতিহত করা।’