পেঁপে চাষে ছামাদের ভাগ্য বদল
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৪:২৭ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ রবিবার
ফাইল ছবি
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে পেঁপে চাষ করে ভাগ্য বদলে গেছে আব্দুস ছামাদ নামে এক কৃষকের। উচ্চ ফলনশীল এই পেঁপে চাষ করে এলাকায় রীতিমতো হৈচৈ ফেলেছেন তিনি। তাকে অনুসরণ করে এলাকার অনেকেই এখন পেঁপে চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
পেঁপে চাষী আব্দুস ছামাদ উপজেলার পলাশবাড়ী পৌরসভার কালুগাড়ী গ্রামের মৃত আশেক মামুনের ছেলে।
সরেজমিনে পেঁপে বাগানে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি প্রতিটি পেঁপে গাছে ঝুলে আছে অসংখ্য কাঁচা পেঁপে। গত দু'মাস ধরে গাছ থেকে পেঁপে তুলে বিক্রি করছেন তিনি। সেখানেই কথা হয় আব্দুস ছামাদের সঙ্গে। তিনি জানান, চার বিঘা জমিতে তিনি পেঁপে চাষ করছেন। প্রায় ১৫ বছর আগে বাছাই করা সোনালী জাতের বীজ সংগ্রহ করে প্রথমে একবিঘা জমিতে পেঁপে চাষ শুরু করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে পেঁপে চাষ বৃদ্ধি করতে থাকেন। এখন তিনি চার বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করছেন।
তিনি আরও বলেন, 'অন্যান্য ফসলের তুলনায় পেঁপে চাষ করে লাভ বেশি। চার বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করতে এক লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এই পেঁপে বাগান থেকেই কাঁচা অবস্থায় ৪'শ টাকা আর পাকা পেঁপে এক হাজার টাকা মন দরে বিক্রি করছেন। বাগান ছাড়াও পেঁপে গাইবান্ধা শহর, গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ীর বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করছেন। একটি পেঁপে গাছ থেকে দুই আড়াই মন ফল পাওয়া যায়। বাগানের একটি পেঁপে সাড়ে ৫ কেজি পযর্ন্ত হয়। একটি পেঁপে গাছে দু'বছর ধরে ফল পাওয়া যায়'।
জমিতে পেঁপে কিনতে আসা পলাশবাড়ীর ব্যবসায়ী আউয়াল হোসেন ও স্থানীয় হোসেনপুর ইউনিয়নের দিগবারী গ্রামের কাঁচামাল ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, 'আমরা ছামাদ মিয়ার বাগান থেকে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ মন কাঁচা-পাকা পেঁপে ক্রয় করে নিয়ে যাই। অন্যান্য জায়গার তুলনায় এখানকার পেঁপের মান ভালো। প্রতি মন পেঁপে ১১'শ টাকা থেকে ১২'শ টাকায় কিনছি'। এই পেঁপে ঢাকাতেও নিয়ে যাওয়া হয় বলে তারা জানান।
পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আনিছুর রহমান জানান, 'পেঁপে শরীরকে সুস্থ রাখতে ও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করার পাশাপাশি এটি জ্বর নিরাময় ও পেটের নানাবিধ সমস্যা দূর করে। এছাড়া গ্যাষ্টিক এবং বদহজমের জন্য অনেক উপকারি পেঁপে। কাঁচা পেঁপেতে প্রচুর পরিমানে এনজাইম রয়েছে যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে'।
পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওসার মিশু জানান, 'আমরা কৃষকদের পেঁপে চাষে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন প্রণোদনাসহ সার, বীজ দিয়ে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি'। এ নিয়ে কৃষকদের উদ্ধুদ্বসহ বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
