ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৪৫:৩২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

চুয়াডাঙ্গায় নারীদের নেতৃত্বে হচ্ছে দুর্গাপূজা

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৪৫ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গা শহরের দাস পাড়ায় এ বছরও নারীদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শারদীয়া দুর্গাপূজা। পাঁচ বছর ধরে এলাকার ২০ নারী নিজেরাই এই পূঁজার আয়োজন করে আসছেন। একই স্থানে দুর্গাপূজা ছাড়াও কালিপূজা, সরস্বতী পূজাসহ অন্যন্যা পূজাও অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। 

নিজেদের ভাললাগা ও ধর্মীয় অনুভূতির জন্য নারীরা এ পূজার আয়োজন করে থাকেন। দূর-দূরান্ত থেকেও অনেকে দেখতে আসেন নারীদের এই আয়োজন।

আয়োজকরা জানান, পাঁচ বছর আগে চুয়াডাঙ্গা শহরের দাস পাড়ায় শিবমন্দির মহিলা সংঘ নামের একটি সংগঠন গড়ে তোলেন এলাকার নারীরা। বর্তমানে তাদের সদস্য সংখ্যা ২০ জন। কমিটিতে কোনো পুরুষ সদস্য নেই। শিবমন্দির মহিলা সংঘের ব্যানারে আগের তিনটি বছরের মতো এবারও শারদীয়া দুর্গাউৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিমা তৈরি ও রং করার কাজও শেষ হয়েছে। এখন চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি।

তারা জানান, আগের চারটি বছরের মতো এ বছরও সকলের উৎসাহ এবং সহযোগিতা পাচ্ছেন। নারী হওয়ার কারণে বড় আয়োজনেও তাদের কোনো সমস্যায় পড়তে হয় না। খুবই নির্বিঘ্নে এবং স্বাচ্ছন্দে সকল আয়োজন সম্পন্ন করে থাকেন। 

এ বছর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব আয়োজন সম্পন্ন করা হবে। দুর্গাপূজার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পূজার পুরো দায়িত্ব পালন করেন স্থানীয় নারীরা। নারীদের এ আয়োজনে আলাদা নজর থাকে সনাতন ধর্মের অনুসারীসহ সকলেরই।

শিবমন্দির মহিলা সংঘের সভাপতি মৌসুমী দাস বলেন, “পুরুষরা পারলে আমরা কেন পারবো না? এই সাহস থেকেই আমরা শুরু করেছিলাম। পাচঁ বছর আগে থেকে এখানে চলছে পূজা উৎসব। কখনো কোনো সমস্যা হয়নি। প্রতিবারই ভালভাবেই আয়োজন শেষ করতে পেরেছি। এবারও সুষ্ঠুভাবে শেষ করবো বলে আশা করি।”

পূজা উদযাপন পরিষদ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি কিশোর কুমার আগরওয়ালা বলেন, “প্রতীমা শুরু থেকে বিসর্জন পর্যন্ত সংঘের নারীরা এই দুর্গাপূজায় সম্পৃক্ত থাকেন। তাদের আয়োজন থাকে পরিচ্ছন্ন এবং বেশ পরিকল্পিত। দূর-দূরান্ত থেকেও অনেকে দেখতে আসেন তাদের এই আয়োজন।”

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজল বলেন, “নারীদের আয়োজনের ওই পূজা মণ্ডপ আমি দেখে এসেছি। প্রশংসা পাওয়ার মতো আয়োজন। এই আয়োজন নারীদের এগিয়ে যেতে সাহসী ভূমিকা নিতে অনুপ্রাণিত করবে।”