চট্টগ্রামে করোনার সংক্রমণ হার এ মাসে সর্বোচ্চ
অনলাইন ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:৪৫ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ বুধবার
প্রতীকী ছবি
সংখ্যার বিচারে আগের দিনের চেয়ে ২ জন কম হলেও চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার এ মাসে সর্বোচ্চ। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ হার নির্ণিত হয় ১৭ দশমিক ০২ শতাংশ, আক্রান্ত রোগি ১৬ জন।
চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে আজ প্রেরিত প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস, নগরীর ছয় ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে নতুন ১৬ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের ১৩ ও তিন উপজেলার ৩ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৯০৭ জন। এতে শহরের ৯৩ হাজার ৯৮৭ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৯২০ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারী, রাউজান ও আনোয়ারায় একজন করে রয়েছেন। করোনায় মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ৩৬৭ জন রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৭ ও গ্রামের ৬৩০ জন।
উল্লেখ্য, আগের দিন ২৬ সেপ্টেম্বর কোভিডে চট্টগ্রামে এ মাসের সর্বোচ্চ ১৮ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়। ১৭১ জনের নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমণ হার ছিল ১০ দশমিক ৫২ শতাংশ, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বিআইটিআইডি’তে ১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের ৪ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ২৪ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৫ ও গ্রামের একজন আক্রান্ত শনাক্ত হন।
বেসরকারি ল্যাবরেটরি আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৯ নমুনায় শহর ও গ্রামের একটি করে সংক্রমিত মিলে। এপিক হেলথ কেয়ারে ১০টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের একটিতে জীবাণু চিহ্নিত হয়। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবরেটরিতে ৬টি নমুনায় গ্রামের ২টিতে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৮ ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ১৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে সবগুলোর রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।
নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৬ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হয়। এতে গ্রামের একজন সংক্রমিত বলে জানানো হয়।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, শেভরন, ল্যাব এইড ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবরেটরিতে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়, বিআইটিআইডি’তে ২৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ, চমেকহা’য় ২৫, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২২ দশমিক ২২, এপিক হেলথ কেয়ারে ১০, এভারকেয়ার হসপিটালে ৩৩ দশমিক ৩৩, এশিয়ান সেপশালাইজড হাসপাতাল ও মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালে ০ শতাংশ এবং এন্টিজেন টেস্টে ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
