ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ২১:২৩:৩৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বাজারে আগুন, সবজির দাম এখনো চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:২০ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

নিত্যপণ্যের সঙ্গে বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দামও চড়া।  সবজির সরবরাহ বাড়লেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি। রাজধানীর বাজারগুলোতে দেখা গেছে, আগের চেয়ে কিছুটা কমলেও সবজির দাম এখনো চড়া। বাজারে সবজির সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবুও কেন কমছে না সবজির দাম এ প্রশ্ন ক্রেতা সাধারণের। 

চালের দামও বেড়েছে কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা। চাল ছাড়াও ডাল, আটা, চিনি, তেল, মুরগিসহ অনেককিছুর দামই চড়া। রাজধানীর মালিবাগ, খিলগাঁও, শান্তিনগর, কাওরান বাজার ও মিরপুর এলাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর থেকেই বাজারে সব নিত্যপণ্যের দাম বাড়তি। তার জেরেই বাজারে সবজি, চালসহ এখনো সব প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। 

পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও খুচরা পর্যায়ে মিনিকেট চাল কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৪ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৮ থেকে ৬২ টাকা। এছাড়া নাজিরশাইল চালের দাম ৩ থেকে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭৫ টাকা। যা আগে ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা।

ঢাকা রাইস এজেন্সির স্বত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ সায়েম বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর থেকেই চালের দাম বেড়েই চলছে। কারণ, তেলের দাম বৃদ্ধিতে পরিবহন ভাড়াও বাড়ানো হয়েছে। এই অজুহাতে মিলাররা চালের দাম বাড়াচ্ছে। তিনি বলেন, চালের অনেক আমদানিও হয়েছে। তবুও মিলাররা চালের দাম কমাচ্ছে না।

ওদিকে, খুচরা বাজারে খোলা চিনির সর্বোচ্চ দর ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বিক্রেতারা তা মানছেন না। এখন ৮০ থেকে ৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে চিনি। আর প্যাকেটজাত চিনি কিনতে হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। এছাড়া বাজারে ভারতীয় মসুর ডালের কেজি ৯০ থেকে ৯২ টাকায় বিক্রি হলেও দেশি মসুর ডাল কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। গত দুই সপ্তাহ ধরেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে আটা-ময়দা। দুই কেজির প্যাকেটজাত আটার দাম ৮০ থেকে ৮২ আর খোলা আটার কেজি ৩৫ থেকে ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খোলা ময়দার কেজি ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। খুচরায় খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে লিটারে ১৫০ থেকে ১৫৫ এবং পামতেল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। আর বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫৩ থেকে ১৫৮ টাকায়।

ওদিকে, বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম তেমন কমেনি। বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতের সবজির কোনো অভাব নেই। তবুও বাড়তি দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। খুচরা বাজারে কেজিতে সিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এছাড়া কাঁচামরিচ ৯০ থেকে ১০০ টাকা, গাজর ৮০ টাকায়, করলা ৬০ টাকা, বাঁধা কপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, নতুন আলু ৮০ টাকা, পুরান আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, শালগম ৬০ টাকায়, পটোল ৬০ টাকায়, পিয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় এবং ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়। বাজারে ডিম এবং ব্রয়লার মুরগির দামও বাড়তি। গত মাসে ব্রয়লার মুরগি ১৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হলেও শুক্রবার তা ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।